এক দম্পতিকে ভুল বুঝিয়ে বর্ধমান হাসপাতাল থেকে সদ্যজাত শিশুকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পথে ওই শিশু সহ দুর্গাপুরের এক দম্পতিকে আটক করে শক্তিগড় থানার পুলিশের হাতে তুলে দিল কাঁকসা থানার পুলিশ। ধৃত মহিলার নাম মধুমিতা ব্যানার্জী বৈরাগ্য ওরফে পিংকী। দুর্গাপুরের বেনাচিতির বাসিন্দা। পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় বাপের বাড়ি বলে জানা গেছে।

অনাময় হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ২৪ ঘন্টার মধ্যেই চুরির কিনারা করল পুলিশ। রবিবার অভিযোগ পেয়ে শক্তিগড় থানার পুলিশ অনাময় হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এক মহিলাকে চিহ্নিত করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ওই রকম এক মহিলা বাচ্চা কোলে দুর্গাপুর অভিমুখে যাওয়া একটি বাসে উঠেছে। সেই খবর পেয়ে কাঁকসা থানার পুলিশ রাজবাঁধ টোলপ্লাজায় বাস থেকে সদ্যজাত শিশু সহ এক দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে কাঁকসা থানার পুলিশ বাচ্চা সহ ওই দম্পতিকে শক্তিগড় থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

উল্লেখ্য, ১৫ তারিখে অভিযুক্ত মহিলা বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি হন। সেই দিনই প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ভর্তি হন রায়না থানার মণসাডাঙার রিমা মালিকও। পরের দিন তাঁর একটি কন্যা সন্তান হয়। রবিবার দুজনকেই ডিসচার্জ করা হয় হাসপাতাল থেকে। এরপর কন্যা সন্তান হওয়ায় হাসপাতাল থেকে সরকারি সাহায্য পাইয়ে দেওয়ার নামে অভিযুক্ত মহিলা ওই দম্পতিকে নিয়ে যায় অনাময় হাসপাতালে। সেখান থেকেই শিশুটিকে নিয়ে চম্পট দেয় অভিযুক্ত মহিলা। এরপর রাজবাঁধ থেকে আটক করা হয় বাচ্চা সহ দম্পতিকে। যদিও অভিযুক্ত মহিলা গ্রেফতার হওয়ার পরই শিশুকন্যা তাঁর নিজের বলেই দাবি করেন। এরপরই পুলিশ মহিলার মেডিকেল করানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বর্ধমান হাসপাতালে পরীক্ষা করানোর পর মহিলার বাচ্চা প্রসবের কোন প্রমাণ মেলে নি। এরপরই শিশুকন্যাকে তার মা-বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে শিশুটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালর এসএনসিইউতে ভর্তি করে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। শিশুকন্যাটি অনাময় হাসপাতাল থেকে চুরি যায়। পুলিশি তৎপরতায় ফিরে পাওয়ার পর হাসপাতালের তরফে বাচ্চাটির নাম রাখা হয় অনাময়ী।

শিশুকন্যাটিকে তার মা-বাবার হাতে তুলে দেওয়া হল