ক্রমশই আতঙ্ক বাড়ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়েই গোটা জেলা জুড়ে তৎপরতা বাড়িয়েছে জেলা পুলিশ। চলছে জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেনের নেতৃত্বে এরিয়া ডোমিনেশন পর্ব। আর তারই মাঝে লাগাতার আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, বোমা উদ্ধারে রীতিমত আতঙ্ক দেখা দিয়েছে গোটা জেলা জুড়েই। রবিবার সাতসকালেই বর্ধমান শহরের বাহিরসর্বমঙ্গলাপাড়ায় বাগান পরিষ্কার করতে গিয়ে বোমা ফেটে জখম হয়েছেন এক ব্যক্তি। আহত ব্যক্তির নাম অসীম বিশ্বাস। তাঁকে বর্ধমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বাহিরসর্বমঙ্গলা পাড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী। ঘটনাস্থলে স্নিফার ডগ নিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বোমায় জখম অসীম বিশ্বাস রবিবার সকালে বাড়ির পাশে বাগান পরিষ্কার করছিলেন। সেই সময় হঠাৎ করেই বোমা ফেটে তিনি জখম হন। স্থানীয়রাই জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনাস্থলে আরও বোমা মজুত আছে কিনা তা জানতে ডিআইবি বম্ব ডিটেকশন টিম এদিন তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালায়। যদিও নতুন করে আর কোন বোমা উদ্ধার হয়নি বলে জানা গেছে।
অপরদিকে, এদিন সকালেই দেওয়ানদিঘী থানার পুলিশ তালিত দিঘীরপাড় এলাকার এনএইচ২বির পাশ থেকে দুই জারিকেন ভর্তি বোমা উদ্ধার করেছে। শনিবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ ওই বোমা ভর্তি জ্যারিকেনের হদিশ পায়। রাতেই গোটা এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ। রবিবার সকালে সিআইডি বম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হলে দুটি জ্যারিকেন থেকে ২২টি তাজা বোমা উদ্ধার করে তা নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর গত দু’দিনে পূর্ব বর্ধমান জেলায় পুলিশি অভিযানে ৫২ টি বোমা, ১০ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৫ টি গুলি উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৯৩ জনকে। এরই পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা খুঁজতে এবার জল-জঙ্গল একাকার করে ফেলা শুরু করল পুলিশ। এমনকি বাদ পড়লো না পরিত্যক্ত বাড়ি, পাম্প হাউস ও কালভার্টের তলাও।