প্রতিবছরই এই সময়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের সঙ্কট দেখা দেয়। এবারও তার ব্যাতিক্রম নয়। তার উপর করোনার জেরে লকডাউন চলছে। রক্তদান শিবিরের আয়োজনে স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রচুর বিধি নিষেধ রয়েছে। তাই ভিড় করে আর বড় নয় ন্যানো রক্তদান শিবির করেই রক্তের জোগান ঠিক রাখছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ক। এই বিষয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ককে সহযোগিতা করছে দুর্গাপুর ভলাটিয়ারস ব্লাড ডোনারস ফোরামের সদস্যরা। রক্ত সঙ্কট কাটাতে এগিয়ে এলো দুর্গাপুরের ৮টি থানার পুলিশ কর্মীরা। জানা গেছে, ১ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন সময় করে ২৫ জন পুলিশ কর্মী দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে গিয়ে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তদান করবেন। পুলিশ কর্মীরা এগিয়ে আসায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে ফের রক্তের জোগান বাড়বে বলেই মনে করছেন ব্লাড ব্যাঙ্কের কর্মীরা।
করোনার জেরে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে হাসপাতাল গুলিতেও দেখা দিয়েছে রক্ত সঙ্কট। ইতিমধ্যেই সঙ্কট দূরীকরণে গত ৩০ মার্চ থেকে ১০ ইউনিট করে রক্তদানের ব্যবস্থা করে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। এবার সেই লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে প্রতিদিন ৫০ ইউনিট করে। বুধবার অরবিন্দ স্টেডিয়ামে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের পক্ষ সেই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। আগামী ১২ দিন ধরে এই শিবিরে প্রতিদিন গড়ে ৫০ জন করে পুলিশ কর্মী রক্ত দেবেন।েদিনের এই শিবিরে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জী সহ অনান্য পুলিশ আধিকারিকরা।