বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউ বিল্ডিংয়ে মেডিসিন বিভাগের সেমিনার হলে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় বর্ষের ৩০ জন ছাত্র-ছাত্রীকে নিয়ে ‘কেস প্রেজেন্টেশন’ চলাকালীন আচমকই খসে পড়ল ছাদের চাঙড়। জখম হলেন ৪ জন জুনিয়র ডাক্তার। তাঁদের মধ্যে সাত্যকি রায় এবং সঞ্জয় সেনের আঘাত বেশী হওয়ায় তাঁদের দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের অবজারভেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু আচমকা এই ঘটনায় হাসপাতাল জুড়ে রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত জুনিয়র ডাক্তাররা এই ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে যাওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু খবর পেয়ে তাঁদের ডেকে পাঠান হাসপাতাল সুপার ডা. উৎপল দাঁ। উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহাও। উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর জুনিয়র ডাক্তাররা কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন, এদিনের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এই বিল্ডিংয়ের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এব্যাপারে রাজ্য স্বাস্থ্যভবনকে তাঁরা একাধিক চিঠি লিখে জানিয়েছেন। চলতি বছরেই ২৪ এপ্রিল, ১৮ জুন এবং গত ৯ আগষ্ট তাঁরা স্বাস্থ্যভবনের কাছে এই ভবনের বিষয়ে চিঠি দেন।
এদিনের ঘটনার পর ওই ভবনের বিভিন্ন ঘর ও বারান্দাকে দ্রুত মেরামত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের পূর্ত বিভাগকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ভাতাড় থানার আটাশপুরের বাসিন্দা নুরমান আলিকে বুকের সমস্যা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই এদিন নিউ বিল্ডিংয়ের সেমিনার হলে ওই রোগী এবং তাঁর ছেলে জাকির হোসেনের উপস্থিতিতে আলোচনা চলছিল। সেই সময় আচমকাই ছাদের একটি বড় চাঙড় খসে পড়ে প্রথমে সিলিং ফ্যানে। সেখান থেকে তা ছিটকে পড়ে ৪ জন জুনিয়র ডাক্তারের গায়ে।