বাঙালির ঐতিহ্য, পরম্পরা ও রীতির সঙ্গে পড়ুয়াদের পরিচয় করাতে ও এলাকার দরিদ্র পরিবারের পড়ুয়াদের কথা ভেবে স্কুলেই আয়োজন করা হল পিঠেপুলি উৎসবের। মিড-ডে মিলে পড়ুয়াদের পাতে পড়ল নানান রকম পিঠে ও পায়েস। কচিকাঁচাদের এই আনন্দে সামিল হলেন বিডিও থেকে অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকও।
পৌষ মাস মানেই পিঠে-পুলির মরশুম। আর গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও পরম্পরা পড়ুয়াদের মধ্যে প্রসারের লক্ষ্যে এই আয়োজন বলে জানান বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রান্তিক এলাকার দিন আনা দিন খাওয়া অনেক পরিবারেরই পিঠে-পুলি উৎসব পালন করতে পারে না তাই সেইসব পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য ভাজা পিঠে, সিদ্ধ পিঠে ও নলেন গুড়ের পায়েস রান্না করা হয়। রোজকার মিড-ডে মিলে ডাল, ভাত, ডিম, সোয়াবিনের বদলে আজ তাদের দেওয়া হয় সিদ্ধ পিঠে ও ভাজা পিঠে ও নলেন গুড়ের পায়েস। উত্সব উপলক্ষ্যে একইসাথে জয়রামপুর ত্রিপল্লী অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও।
বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিলের রাঁধুনি বাসনা কুন্ডু জানান, প্রতিদিনই নিয়ম করে মিড-ডে মিল হয় স্কুলে তবে আজ ডাল-ভাত-সবজির বদলে মেনুতে ছিল নলেন গুড়ের পায়েস, সিদ্ধ পিঠে ও ভাজা পিঠে। বাচ্চাগুলোর জন্য সকাল থেকেই রান্নার কাজে লেগে পড়ি। আজ স্কুল জুড়ে ছিল একটা খুশির পরিবেশ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মধুসূদন চ্যাটার্জী জানান, একদিকে বাঙালির পরম্পরা ও অন্যদিকে গরিব প্রধান এলাকা হওয়ায় যেহেতু ছাত্র-ছাত্রীদের একটা বড় অংশের পরিবার এই পিঠে-পুলি উৎসব থেকে দূরে থাকেন তাই স্কুলেই এই পিঠে-পুলি উৎসবের আয়োজন। বিদ্যালয়ের প্রি-প্রাইমারী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত আজ ১১৫ জন পড়ুয়া উপস্থিত ছিল। সকলকেই আজ মিড-ডে মিলের খাবার হিসেবে সিদ্ধ পিঠে, ভাজা পিঠে ও নলেন গুড়ের পায়েস দেওয়া হয়।