চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল বর্ধমান হাসপাতালে। বর্ধমানের কালনা মহকুমার সিংরাইল গ্রামের বাসিন্দা নমিতা বারুই জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী গৌতম বারুইকে জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে ৭ ডিসেম্বর তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এরপর তাঁকে হাসপাতালের সারি ওয়ার্ডে ভর্তি করে কোভিড টেস্ট করা হয়। কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর গৌতম বারুইকে মেল ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরের দিন বুধবার কর্তব্যরত চিকিৎসক গৌতম বারুইকে পরীক্ষা করে কিছু ওষুধ ও ইঞ্জেকশন লেখেন।
নমিতাদেবী অভিযোগ করেছেন, রাতে রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তিনি এবং অন্যান্য রোগী পক্ষের লোকজন কর্তব্যরত নার্সকে জানালে তিনি তাঁদের ওয়ার্ড থেকে বার করে দেওয়ার কথা বলেন। নমিতাদেবী অভিযোগ করেছেন, এই সময় কর্তব্যরত নার্স এবং জুনিয়র ডাক্তারদের বারবার রোগীর অবস্থা জানালেও তাঁরা তাতে কান দেননি। আর তার পরে বৃহস্পতিবার সকালে গৌতম বারুই মারা যান। এই ঘটনায় নমিতাদেবী সংশ্লিষ্ট নার্স ও কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করেছেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপারের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সংশ্লিষ্ট নার্স ও ডাক্তারদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছেন।
এই ঘটনা সম্পর্কে এদিন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডা. তাপস কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, এই বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়ার পর ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ওই রোগীর দুটি ফুসফুসই অত্যন্ত খারাপ অবস্থায় ছিল। তবুও তাঁরা চেষ্টা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, রোগীকে সঙ্কটজনক অবস্থাতেই নিয়ে আসা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবুও রোগীপক্ষের অভিযোগ তাঁরা গুরুত্ব সহকারেই দেখছেন। সেক্ষেত্রে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।