হঠাৎই ট্রেনের রুট বদলের অভিযোগে শুক্রবার রাত্রি প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ তুমুল যাত্রী বিক্ষোভ হল বর্ধমান স্টেশনে। রেলের বিরুদ্ধে তুঘলকি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার রাতেই শিয়ালদা-বারাণসী এক্সপ্রেসের যাত্রীরা স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে বিক্ষোভ দেখান। ট্রেনটি প্রতিদিন শিয়ালদা থেকে বর্ধমান ও রামপুরহাট হয়ে বারাণসী যায়। যাত্রীদের অভিযোগ, শুক্রবার রাতে নিদিষ্ট সময়েই শিয়ালদা-বারাণসী এক্সপ্রেস শিয়ালদা থেকে রওনা হয়। শিয়ালদা থেকে ট্রেন ছাড়ার সময় যাত্রীদের অভিযোগ, তাঁরা জানতেন না বারাণসী এক্সপ্রেসের রুট বদল হবে। বর্ধমান ঢোকার আগে ট্রেনের নিরাপত্তা কর্মীদের কাছ থেকে যাত্রীরা জানতে পারেন ট্রেনটি রামপুরহাটের বদলে আসানসোল হয়ে বারাণসী যাবে।
বর্ধমান স্টেশনের ৩ নম্বর প্লাটফর্মে ট্রেন থামলে যাত্রীদের একাংশ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। প্রতিবাদ করতে গেলে আরপিএফের সঙ্গে বচসা বাধে যাত্রীদের। ধাক্কাধাক্কিও হয় আরপিএফের সঙ্গে বিক্ষোভরত যাত্রীদের। শেষ পর্যন্ত ট্রেনটি রামপুরহাট রুটের যাত্রীদের বাদ দিয়েই আসানসোল হয়ে বারাণসীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। রামপুরহাটের যাত্রী রঞ্জন চৌধুরী, সন্তু সরকার, সেলিম খান, বলাকা দাশগুপ্ত প্রমুখরা দাবি করেছেন, শিয়ালদহ-বারাণসী এক্সপ্রেসে তাঁরা প্রায়শই যাতায়াত করেন। কিন্তু কোন রকম আগাম ঘোষণা ছাড়াই এভাবে ট্রেনের রুট বদল হওয়ায় তাঁরা শুক্রবার রাতের চরম সমস্যায় পড়েছেন।
যদিও যাত্রী বিক্ষোভের প্রশ্নে বর্ধমান ষ্টেশন ম্যানেজার স্বপন অধিকারী জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত থেকে শনিবার পর্যন্ত আপ ১৩১৩৩ শিয়ালদহ-বারাণসী এক্সপ্রেসের রুট বদল করা হয়েছে। মোকামা স্টেশনে ইন্টারলকিং সিস্টেমের জন্য কিছু গাড়িকে অন্য রুটে তথা মেন লাইন দিয়ে পাশ করানো হচ্ছে। যেটা মোকামা হয়ে যায়, সেটা মেন লাইন হয়ে যাবে। এবিষয়ে সংবাদপত্রে নোটিফিকেশন বেশ কিছু দিন আগেই করা হয়েছে। স্বপনবাবু জানিয়েছেন, এরপরও এই যাত্রীরা ওই ট্রেনে চেপে পড়ে। রাত সাতে এগারোটা নাগাদ ট্রেনটি বর্ধমান স্টেশনে পৌঁছালে ওদের নামিয়ে রামপুরহাট রুটের গাড়িতে চাপার জন্য অনুরোধ করা হয়। সেই সময় বর্ধমান ষ্টেশনে গৌড় এক্সপ্রেস ছিল। সেই গাড়িতেই যাত্রীরা চলে যান।