করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের উপর প্রভাব পড়তে পারে বেশি – বিশেষজ্ঞদের এই মতামতকে কেন্দ্র করে গোটা দেশ জুড়েই ছড়িয়েছে আতঙ্ক। আর তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হলে শিশুদের জন্য সবরকমের প্রস্তুতি নিল বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও ইতিমধ্যেই বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২০টি শিশু ভর্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার কুণাল কান্তি দে। তিনি জানিয়েছেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় তাঁরা সবরকমের প্রস্তুতি নিয়েছেন। বিশেষ করে শিশুদের জন্য তাঁরা ৪০টি বেড রেখেছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত শিশুদের জন্য ২০টি বেড এবং আরও ২০টি বেড সারি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। যারা করোনা আক্রান্ত নয়, অথচ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছে সেই সমস্ত শিশুদের রাখা হচ্ছে এই সারি ওয়ার্ডে।
কুণালবাবু জানিয়েছেন, শুধু শিশুদের জন্য নয়, করোনা আক্রান্তদের জন্য মোট ৪০০টি বেড রয়েছে। এরমধ্যে ২৪০টি করোনা আক্রান্ত পূর্ণ বয়স্ক রোগীদের জন্য এবং ১৬০টি বেড রাখা হয়েছে সারি ওয়ার্ডে। তিনি জানিয়েছেন, বর্ধমানের রাধারাণী ওয়ার্ডে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথকভাবে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে সর্বক্ষণের জন্য অক্সিজেন সরবরাহেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডেপুটি সুপার জানিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে ৬-৮ জন শিশু করোনা আক্রান্ত হয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তবে সুস্থতার হার যথেষ্টই আশাব্যঞ্জক। তা সত্ত্বেও তাঁরা আত্মতুষ্টিতে ভুগতে রাজী নন। একটি শিশুও যেন মারা না যায় সেটাই তাঁদের লক্ষ্য।