চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে নার্সিং হোম ভাঙচুর করল রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। যদিও উভয়পক্ষ থানায় কোন লিখিত আভিযোগ দেয়নি। মঙ্গলবার উভয়পক্ষ নিজেদের মধ্যে আপসে মীমাংসা করে নেয়।
সোমবার সকালে গলসির হাসিবুর রহমান (৬০) শারীরিক সমস্যা নিয়ে কেশবগঞ্জ চটির একটি বেসরকারি নার্সিং হোমের আইসিসিইউতে ভর্তি হন। বিকেলের দিকে রোগীর আত্মীয় পরিজনরা নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ এনে রোগীকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ রোগীকে ছেড়ে দেয় নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ। রোগীকে নিয়ে দুর্গাপুরের দিকে যাওয়ার পথে হাসিবুর রহমান (৬০) মারা যান। আত্মীয় পরিজনেরা মৃতদেহ নিয়ে আবার কেশবগঞ্জ চটির ওই নার্সিং হোমে ফিরে আসেন এবং মৃতদেহ নার্সিং হোমে রেখে দেন। রোগীর মৃত্যুতে রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা উত্তেজিত হয়ে মারমুখি হয়ে ওঠেন এবং নার্সিংহোম ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রোগীর আত্মীয় পরিজনের বক্তব্য, বিনা চিকিৎসায় রোগীকে আইসিসিইউতে ফেলে রাখা হয়েছিল।
নার্সিং হোমের মালিক বলেন, ‘রোগীর হার্টের সমস্যা ছিল। আত্মীয় পরিজনের কথা অনুযায়ী আমরা রেফার করে দিয়েছিলাম। দুর্গাপুর যাওয়ার পথে রোগী মারা যাওয়ায় তাঁরা প্রচুর লোকজন নিয়ে এসে নার্সিং হোমে ভাঙচুর চালান এবং কর্মীদের মারধর করেন। মঙ্গলবার তাঁরা আপসে মীমাংসা করে মৃতদেহ নার্সিংহোম থেকে নিয়ে যান।’