২ নং জাতীয় সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার হল নীলগাই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে বর্ধমান শহরের গোদা এলাকায়। জাতীয় সড়কের পাশে আহত অবস্থায় ওই নীলগাইটিকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা সেটিকে উদ্ধার করে শুশ্রূষা শুরু করেন। আসেন পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরাও। তাঁরা উদ্যোগ নিয়ে বনদফতরে খবর দেন। বর্ধমানের বনদফতরের আধিকারিকরা এসে নীলগাইটিকে উদ্ধার করে রমনাবাগান অভয়ারণ্যে নিয়ে যান।

প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে নীল গাইটি আহত হয়েছে। তার চিকিৎসা চালানো হচ্ছে। ওই নীলগাইটিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বনদফতর। অনেক সময় সুন্দরবনে চাষের জন্য নীলগাই নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রেও তেমনটি হচ্ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাড়িতে গোপনে এই নীলগাই পাচার হচ্ছিল বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, নীলগাইটির দাঁড়ানোর ক্ষমতা ছিল না। কোমর ও পায়ে চোট রয়েছে। গাড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, ট্রাকে করে পাচারের সময় তা পড়ে গিয়েছে।

বন দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এ রাজ্যে নীলগাই দেখতে পাওয়া যায় না। তাই অন্য কোথা থেকে চলে এসেছে এমন সম্ভাবনা কম। বিহার, উত্তর প্রদেশে এই ধরনের নীলগাই দেখা যায়। সেখান থেকেই এই নীলগাই অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনিতে বর্ধমানে বিহার, উত্তর প্রদেশ থেকে আসা প্রচুর কচ্ছপ পাচারের সময় উদ্ধার হয়। কয়েক বছর আগে খন্ডঘোষে কৃষিজমিতে একটি নীলগাই পাওয়া গিয়েছিল। চিকিৎসা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি। এবারে উদ্ধার হওয়া নীলগাইটির অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

Like Us On Facebook