বর্ধমানের নীলপুর কোঁড়াপাড়া এলাকায় সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ইংরেজী দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রের রহস্য মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। মৃত ছাত্রের নাম সৌমেন মুর্মু (২০)। বাড়ি মেমারির পাল্লারোড, সাহাপুর এলাকায়। আগে সে এই কলেজের আবাসিক হিসাবে থাকলেও বর্তমানে হোস্টেলে থাকত না। শুক্রবার সকালে কলেজ হোস্টেলের নীচ থেকে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই হোস্টেলের প্রাক্তন আবাসিক ছিল সৌমেন মুর্মু। শুক্রবার সকালে সে হোস্টেলে আসে। আসার কিছুক্ষণ পরই তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হোস্টেলের নীচে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার মাথায় ও চোখে রুমাল জড়ানো ছিল বলে জানিয়েছেন হোস্টেলের আবাসিক ও স্থানীয়রা। ঘটনার খবর পেয়েই বর্ধমান থানার আইসি সুখময় চক্রবর্তী সহ পুলিশ গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ খতিয়ে দেখছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, এই ঘটনায় মৃত ছাত্রের বাবা মুনু মুর্মূ জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে হোস্টেলে আসে সৌমেন। গতকাল মামার বাড়ি পাণ্ডুয়া যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার সঙ্গে শেষ কথা হয়। শুক্রবার সকালে কলেজ যাচ্ছি বলে বেড়িয়ে আসে সৌমেন। ছেলের এই অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় মুনু মুর্মূ অভিযোগ করেছেন, তাঁর ছেলে বর্তমানে হোস্টেলের আবাসিক ছিল না। তাহলে কেন তাকে চার তলাতে গেট খুলে ঢুকতে দেওয়া হল। ছেলে মেসে থাকে না। আবাসিক নয়, কেন তাকে হোস্টেলে ঢুকতে দেওয়া হল? তিনি জানিয়েছেন, কলেজ থেকে তাঁকে বলা হয়েছে, চার তলার ছাদ থেকে সৌমেন লাফ দিয়ে পড়েছে। কিন্তু তাঁর মনে হয় কেউ সৌমেনকে ঠেলে ফেলে দিয়েছে। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন তিনি।
যদিও এই বিষয়ে সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের ডিরেক্টর অফ এক্সটেনশন প্রোগাম বিশাল মাহেশ্বরী জানান, প্রাথমিকভাবে আমাদের মনে হয়েছে এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। তবুও কিভাবে এই মৃত্যু ঘটলো তার রহস্য উন্মোচনে কলেজের পক্ষ থেকে তদন্তকারী অফিসারদের সমস্ত রকমের সহযোগিতা করা হবে।