মা ও দুই মেয়ের রহস্যমৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো বর্ধমান শহরের কালনাগেট পীরপুকুর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিনহা রায়। বাড়ির একতলার ডাইনিং থেকে মৃত অবস্থায় ৩ জনের দেহ উদ্ধার করে বর্ধমান থানার পুলিশ।তদন্তের স্বার্থে দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে পাঠানো হয়। বিশাল সম্পত্তির মালিক মা ও ২ মেয়ের মৃত্যু ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃতা মৃণালিনী মন্ডল (চৌধুরী)(৭০), বন্দিতা চৌধুরী (৪০) ও শঙ্খমিতা চৌধুরী( ৩৩) ছাড়া ওই বাড়িতে মৃণালিনী চৌধুরীর মা প্রতিভারাণী মন্ডল একসাথেই থাকতেন। প্রতিভারাণী মন্ডলকে দেখাশোনার জন্য রুপালি হাজরা নামে একজন আয়া নিয়োগ করা হয়েছিল। প্রতিদিনের মতো তিনি সকালে এসে ডাকাডাকির পর কোন সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের খবর দেন। তাঁরা এসে দেখেন বাড়ির একতলার ডাইনিংয়ে পর পর তিন জনার দেহ পড়েছিল। এরপরই তাঁরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি বিষের বোতল উদ্ধার করে। মৃতদের আত্মীয়দের দাবি, অতিমারীর সময় মৃণালিনী চৌধুরীর স্বামী বিমলাক্ষ চৌধুরী মারা যাওয়ার পর থেকেই প্রায় কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি ইউটিলাইজ করা নিয়ে তাঁরা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। বর্ধমান থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।