মোবাইল ছিনতাইয়ের বড়সড় চক্রের হদিশ পেল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। গ্রেফতার চক্রের পাঁচ পান্ডা। উদ্ধার হল ৮টি মোবাইল। নিজেদের হাত খরচ ও বান্ধবীর চাহিদা পূরণ করার জন্যই দ্রুতগতির বাইক ভাড়া করে চলত মোবাইল ছিনতাই। বর্ধমান শহর জুড়েই চলত পথচারীদের কাছ থেকে মাবাইল ছিনতাই। একাধিক অভিযোগের পরিপেক্ষিতে তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে সুবাই হাজরা ওরফে রাহুল নামে এক ছিনতাইবাজকে গ্রেফতার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। তাকে জেরা করে তার দেওয়া তথ্য অনুসারে সুমন চট্টোপাধ্যায়, সুমিত বর্মণ, রাহুল মাঝি ও মোবাইল ব্যবসায়ী আমিন খানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্ধমান শহরের বীরহাটা, ময়ূরমহল, শ্যামলাল রোড, কাঞ্চননগর ও গোদা এলাকায় ধৃতদের বাড়ি। বর্ধমান হাসপাতালে কাছে আমিন খানের একটি মোবাইলের দোকান আছে। সেখান থেকেই চুরি যাওয়া মোবাইলগুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই দুপুর ও সন্ধ্যার সময় দ্রুত গতির বাইক নিয়ে পথচারীদের কাছ থেকে মোবাইল ছিনিয়ে চম্পট দিত ধৃতরা। ধৃতরা প্রত্যেকেই স্বচ্ছল পরিবারের ছেলে। নিজেদের বাইক থাকতেও পুলিশের চোখে ধুলো দিতে এরা প্রত্যেকেই ভাড়ার বাইক ব্যবহার করত। নিজেরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল পরিবারের ছেলে হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র নিজেদের উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপনের খরচ ও বান্ধবীদের চাহিদা পূরণের জন্যই তারা এই ছিনতাই কাজ চালাতো। বৃহস্পতিবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।