নদিয়ার মুক্তারপুর থেকে এক কলা ব্যবসায়ী কলা বোঝাই গাড়ি নিয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে যাচ্ছিলেন, যাবার পথে বর্ধমানের কাছে একটি টাটা সুমো কলা ব্যবসায়ীর গাড়ি আটকায় রাত ১১টা নাগাদ। টাটা সুমো থেকে ৭-৮ জন দুষ্কৃতী রিভলবার এবং ভোজালি দেখিয়ে কলার গাড়ি থেকে ব্যবসায়ী সহ ড্রাইভারকে জোরপূর্বক টাটা সুমোতে তুলে নেয়। ঘটনাস্থল থেকে ১০-১২ কিমি দূরে ভিটের কাছে গাছে বেঁধে মারধর করে তাদের সবকিছু কেড়ে নেয় বলে অভিযোগ।

সপ্তমীর সকালে কিছু গ্রামবাসী তাদের গাছে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায় এবং উদ্ধার করে। ড্রাইভার এবং ব্যবসায়ী গ্রামবাসীদের সমস্ত ঘটনার বিবরণ দেয়। তাদের কথা শুনে গ্রামবাসীরা বর্ধমান থানায় যেতে পরামর্শ দেয়। অভিযোগ দায়েরের উদ্দেশ্যে তারা শনিবার সকালে বর্ধমান থানায় উপস্থিত হয়।

আসাদুল ও সন্ন্যাসী জানান “কলা বোঝাই টাটা-৪০৭ গাড়ি নিয়ে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে যাচ্ছিলাম নদিয়ার মুক্তারপুর থেকে। বর্ধমানের কাছে একটি টাটা সুমো গাড়ি ওভারটেক করে আমাদের গাড়ির সামনে দাঁড়ায় এবং টাটা সুমো থেকে ৭-৮ জন দুষ্কৃতী রিভলবার এবং ভোজালি দেখিয়ে আমাদের জোরপূর্বক টাটা সুমোতে তুলে নেয়। এরপর আমাদের ১০-১২ কিমি দূরে ভিটের কাছে গাছে বেঁধে মারধর করে সবকিছু কেড়ে নেয়। আমাদের কাছ থেকে ২২৬০ টাকা সহ দু’টি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং প্রচণ্ড মারধর করে। সকাল বেলায় গ্রামবাসীরা আমাদের উদ্ধার করে এবং বর্ধমান থানায় যাবার পরামর্শ দেয়। আমরা থানায় এসেছি পুলিশকে ঘটনাটি জানাতে, এখনও গাড়ির হদিশ মেলেনি। গাড়িতে ৪০,০০০ টাকার কলা ছিল”।

লিখিত অভিযোগ এখনও দায়ের হয় নি। তবে পুলিশ ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করতে তদন্তে নেমেছে।