চৈত্র শেষের প্রবল দাবদাহ চলছে। পাশাপাশি চলছে লকডাউন। স্কুল পড়ুয়া থেকে আবাল বৃদ্ধবনিতা সকলেই জীবন বাঁচাতে মহামারির ভয়াল কোপ থেকে বাঁচতে যখন গৃহবন্দি, তখন প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে লকডাউনের মধ্যেই দুটো পয়সা রোজগারের আশায় নিজের জীবন বাজি রেখে দুর্গাপুরে বেনাচিতির রাস্তায় রাস্তায় মাস্ক বিক্রি করছে বছর এগারোর এক নাবালক। নাম আমন গুপ্তা। দুর্গাপুরে বেনাচিতির জল খাবার গলির বস্তি এলাকার বাসিন্দা। বাবা দিনমজুর।
করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে বাবার রুজি রোজগার বন্ধ। তাই অচল সংসারের হাল ধরতে করোনার ভয় উপেক্ষা করে প্রতিটি ৩০ টাকা দামে মাস্ক বিক্রি করতে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ছোট্ট আমন। করোনা মোকাবিলায় মুখে মাস্ক পরা এখন বাধ্যতামূলক হয়েছে। বাজারে মাস্কের চাহিদা তুঙ্গে। আমন তাই হাতে বানানো বেশ কিছু মাস্ক বিক্রি করছে বেনাচিতির রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে। আমন জানায়, বাজারে মাস্কের খুব চাহিদা রয়েছে। তাই মাস্ক বিক্রি করে এই দুঃসময়ে সংসারের হাল ফিরছে। দু’মুঠো ভাতের জোগাড় হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সামান্য টাকায় যে অপরের মুখে করোনা মোকাবিলায় মাস্ক তুলে দিয়ে সুরক্ষা দিচ্ছে তার মলিন মুখে নেই কোন মাস্ক।