গুজরাটের রাজকোটে কাজ করতে গিয়ে অমানুসিক ও পৈশাচিক নির্যাতনের শিকার হল বর্ধমানের জামালপুরের বেড়ুগ্রামের এক নাবালক। গুরুতর অসুস্থ নাবালক রবি দলুইকে বুধবার উদ্ধার করে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জানা গেছে, কয়েক মাস আগে গ্রামেরই যুবক সুশোভন পোড়়েল রবি সহ এলাকার পাঁচ নাবালককে নিয়ে যায় গুজরাটে জনৈক আলমগীর ভাইয়ের কাছে ইমিটেশনের কারখানায় কাজ শেখানোর নামে। কিন্তু তারপর থেকে পরিবারের সঙ্গে তাদের কোন যোগাযোগ ছিল না। কয়েক মাস আগে চার নাবালক তীব্র অত্যাচারের জন্য ওই কারখানা থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু গুজরাটের স্টেশনে তারা ধরা পড়ে যায় আলমগীরের লোকজনের হাতে। এরপর অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আলমগীরের দাবি মত চার নাবালকের পরিবার ১ লক্ষ টাকা দিয়ে তাদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসে। যদিও রবির বাবা মা না থাকায় এবং মামার কাছে মানুষ হওয়ায় তার জন্য টাকা দেওয়ার কেউ ছিল না। ফলে তাকে ছাড়েনি আলমগীর। এমনকি এরপর থেকেই তার ওপর শারীরিক অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সারা দিন খেতে না দেওয়ার সঙ্গে চলতে থাকে গরম লোহার ছ্যাঁকা দেওয়া, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারা। এই ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিন দিন আগে রবিকে সুশোভনের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় আলমগীর। সেখানেই তাকে লুকিয়ে রাখে সুশোভন। গ্রামের লোকজন জানতে পারলে সুশোভন গা ঢাকা দেয়। গ্রামবাসীরা রবিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। জামালপুরের বিডিও সুব্রত মল্লিক তাকে এদিন হাসপাতালে দেখতে যান এবং তার চিকিৎসার সমস্ত খরচের দায়িত্ব নেন। একইসঙ্গে এই ঘটনায় তদন্তেরও আশ্বাস দিয়েছেন।

Like Us On Facebook