রবিবার বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগরে আয়োজিত হয় এক গণবিবাহ অনুষ্ঠান। কঙ্কালেশ্বরীতলা গণবিবাহ কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এই বিবাহ আসরে ৮৪ জন যুবক-যুবতীর বিবাহ হল এদিন। এই বিবাহ অনুষ্ঠানকে ঘিরে এদিন সকাল থেকেই কাঞ্চননগর এলাকায় ছিল উৎসবের আমেজ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ছাড়াও বিহার ও ঝাড়খণ্ডের বর-কনেরাও উপস্থিত হয়েছিলেন এই গণবিবাহ আসরে।
এদিন দুপুরে আলমগঞ্জের কল্পতরু ময়দান ও রথতলা উৎসব ঘর থেকে বর-কনেরা রওনা দেন বিবাহ আসরের উদ্দেশ্যে। সন্ধ্যায় হয় বিয়ের মূল অনুষ্ঠান। কমিটির পক্ষ থেকে পাত্রদের দেওয়া হয় সোনার আংটি, সাইকেল ও হাতঘড়ি। পাত্রীদের দেওয়া হয় শাড়ী, নাকছাবি ও সেলাই মেশিন। নতুন সংসার পাততে যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেই জন্য প্রত্যেক দম্পতিকে দেওয়া হয় খাট, বিছানা, আলমারি, বাসনপত্র, টিভি সহ এক মাসের খাওয়া দাওয়ার বিভিন্ন সামগ্রী – চাল, ডাল, আটা, তেল, মশলা, সব্জী ইত্যাদি। পাশাপাশি নতুন দম্পতিকে ৭৫ হাজার টাকার জীবনবীমাও করে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গণবিবাহ কমিটির পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞাপণ দিয়ে বিবাহের জন্য নাম নথিভুক্ত করার আহ্বান জানান হয়েছিল। ৪২ জোড়া যুবক-যুবতীকে নির্বাচিত করা হয় এই গণবিবাহ আসরে বিবাহের জন্য। গণবিবাহ কমিটির সম্পাদক তথা বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল খোকন দাস বলেন, ৪২ জোড়া যুবক-যুবতীর বিয়ের আয়োজন করা হয়। সামাজিকভাবে বিয়ে ঠিক করলেও অর্থাভাবে ওদের অভিভাবকরা বিয়ে দিতে পারছিলেন না। তাই ওই যুবক-যুবতীদের ভবিষ্যৎ জীবনের কথা ভেবেই আয়োজন এই গণবিবাহের। আমরা গত তিন বছর ধরে এই গণবিবাহ অনুষ্ঠান করে আসছি।
এদিনের এই বিবাহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল, বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত সহ শহরের বিশিষ্টজনেরা। এছাড়াও বর ও কনে পক্ষের প্রায় ২০০ জন নিমন্ত্রিত ছিলেন। পাশাপাশি কয়েক হাজার স্থানীয় মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন বিয়ের আসরে।