মঙ্গলবার বর্ধমানে ৭ম রাজ্য মাটি উৎসবের সূচনা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন দুপুর প্রায় ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ কালনার বৈদ্যপুর মাঠের জনসভা সেরে বর্ধমানের আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৩০ মিনিট বক্তব্য রাখেন তিনি। এদিন মাটি উৎসব মঞ্চে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত, কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার সহ বেশ কিছু দফতরের সচিব এবং জেলা প্রশাসনের সমস্ত আধিকারিকরাই।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, কৃষকরা তাঁর কাছে সম্পদ। কৃষকরা তাঁর কাছে গর্বের। কারণ এই কৃষকরাই যে ফসল উৎপাদন করেন তা খেয়েই আমরা বেঁচে আছি। তাই কৃষকদের পায়ে প্রণাম জানান তিনি। শুধু কৃষকরাই নন, কৃষক পরিবারের মহিলাদেরও এদিন তিনি সম্মান জানান। তিনি এদিন বলেন, সমস্ত মহিলারা শুধু হাতা-খুন্তি নিয়ে রান্নাই করেন না তাঁরা অনেক কাজই করেন। তিনি চান এই মা বোনদের হাত যেন তাঁর মাথায় থাকে।
এদিন বিজেপির কৃষি আইন নিয়েও সরব হন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্র যে ৩টি কৃষি আইন এনেছে তাতে কৃষকরা সবথেকে বেশি বিপদে পড়বে। বিজেপির ক্যাপিটালিস্টদের সুবিধা করে দিতেই এই কৃষি আইন নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু বাংলার কৃষকদের তিনি কোন ক্ষতি হতে দেবেন না। কৃষকদের জন্য যে সমস্ত প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে এদিন তাও তুলে ধরেন তিনি। একইসঙ্গে সরকারি একাধিক প্রকল্পের কথাও তুলে ধরেন তিনি। তিনি এদিন ফের ঘোষণা করে যান, আগামী জুন মাসের পরও সাধারণ মানুষকে বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া হবে। একাধিক সরকারি প্রকল্পের সুবিধা প্রাপকদের একের পর এক হিসাব তুলে ধরে তিনি বলেন, এই বাংলার সরকার চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বারবার দরকার মা মাটি মানুষের সরকার, বারবার দরকার তৃণমূলের সরকার। তিনি বলেন, যতদিন বাঁচবেন ততদিন মানুষের জন্যই কাজ করে যাবেন। এদিন মঞ্চ থেকেই কৃষক বন্ধু সহায়তা প্রকল্পে মৃত কৃষকদের পরিবারের হাতে ২ লক্ষ টাকার সহায়তা তুলে দেন তিনি। একইসঙ্গে বেশ কয়েকজনের হাতে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড এবং পলিগ্রিন হাউসের সুবিধাও তুলে দেন। একইসঙ্গে এদিন তিনি মূল মাটি মঞ্চের দুই পাশে কৃষক রত্ন প্রাপকদের মঞ্চে গিয়ে কৃষকদের সঙ্গেও দেখা করেন। বাউল শিল্পীদের গান গেয়ে শোনানোরও আবেদন জানান। প্রায় ২টো ১৫ নাগাদ তিনি বহরমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যান।