শুক্রবার বর্ধমানের তিনটি জনসভায় বক্তব্য রাখলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার আবহাওয়া দফতরের ঘোষণা মত ঝড়বৃষ্টির আশঙ্কা থাকায় এদিন কার্যত নির্দিষ্ট সময়ের কিছুটা আগে আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে যান নির্বাচনী জনসভাগুলিতে। এদিন সকাল ১১টায় তিনি পৌঁছান জামালপুরের সেলিমাবাদে। সেখানে জামালপুরের তৃণমূল প্রার্থী অলোক মাঝি এবং রায়নার তৃণমূল প্রার্থী শম্পা ধাড়ার সমর্থনে নির্বাচনী জনসভা করেন। এদিন জামালপুরের সভায় মাঠে ব্যাপক জনসমাগম হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, যদি বাংলাকে গুজরাট বানাতে দিতে না চান তাহলে ভোটটা তৃণমূলকেই দিতে হবে। জন্ম থেকে মৃত্যু রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি একে একে তুলে ধরে মমতা বলেন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য,খাদ্য সব ফ্রিতে পাবেন। আর সেটা আগামী দিনে চাইলে তৃণমূলকে জিতিয়ে সরকার গড়তে দিতে হবে। এদিন মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, তৃণমূল কংগ্রেস সরকার গড়লে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার জন্য ১০ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কার্ড করে দেবেন। যার গ্যারাণ্টার থাকবে খোদ রাজ্য সরকার – অন্য কেউ নয়। সরকারি একাধিক উন্নয়নমূলক পরিকল্পনাগুলি তুলে ধরেন তিনি।
মেমারির জনসভাতেও তিনি একইভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে হুংকার দেন। মেমারির তৃণমূল প্রার্থী মধুসূদন ভট্টাচার্য এবং মন্তেশ্বরের প্রার্থী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর সমর্থনে তিনি জনসভায় বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, এই নির্বাচন বাংলার ইজ্জত বাঁচানোর লড়াই। তিনি বলেন, তোলাবাজিতে ওরা ঠাকুরদাদা। আর তৃণমূলকে বলছে তোলাবাজ। মমতা এদিন বলেন, অনেক পুলিশকে কেনা হয়েছে। নিচের তলার পুলিশ ঠিক আছে। অমিত শাহ তাদের কাজে লাগাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীকে বলব, আপনার হোম মিনিস্টারকে সামলান। পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি বলেন, উপরতলার কিছু পুলিশ মনে রাখবেন ওরা দুদিনের, চমকানি দুদিনের – আমরা ৩৬৫ দিন থাকব। এদিন বর্ধমানের জোতরামের সভা থেকেও বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, হাত পাখার বাঁট নিয়ে তাড়া করবেন। প্রয়োজনে হাওয়াও করবেন আবার দরকার পড়লে পাখার ডাঁট দিয়ে মারবেন, খুব লাগে। জোতরামে বর্ধমান উত্তরের প্রার্থী নিশীথ কুমার মালিক এবং বর্ধমান দক্ষিণের প্রার্থী খোকন দাসের সমর্থনে সভা করেই তিনি হেলিকপ্টারে ফিরে যান কলকাতায়।