বিয়ের জন্য নাছোড় প্রেমিকা। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই প্রেমিকের দরজায় দাঁড়িয়ে টানা ২৮ ঘন্টা। শেষমেশ স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় চারহাত এক হল। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পাল্লারোডের ঘটনা। স্থানীয় কালী মন্দিরে বিবাহপর্ব সম্পন্ন হল। সঙ্গে আইন মেনে ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশনও করা হয়।
জামালপুরের খরদাপলাশি গ্রামের চুমকি মুদি পাল্লা রোডের মামুদপুরে আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে এলে আলাপ হয়েছিল এলাকার যুবক সুশান্ত দাসের সঙ্গে। ক্রমে আলাপ প্রেমে পরিণত হয়। সাড়ে তিন বছর প্রেমের পর চুমকি বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে এখনই বিয়েতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন সুশান্ত।
জানা গেছে, চুমকি ও সুশান্তর প্রেমের কথা উভয় পরিবারই জানত। উভয় পরিবারের এই নিয়ে কোন আপত্তিও ছিল না। কিন্তু আর্থিক কারণে সুশান্ত এখনই বিয়েতে রাজি হচ্ছিলেন না। এদিকে চুমকি সম্প্রতি একটি চাকরি পাওয়ায় তাঁদের সংসার চালাতে যে অসুবিধা হবে না তাতে নিশ্চিত হয়েই চুমকি দ্রুত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বুধবার বিকেলে সুশান্তর বাড়ির দরজায় বিয়ের দাবিতে ধর্নায় বসেন চুমকি। বৃষ্টিতে ভিজে হাত কেটে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও সুশান্ত বা তাঁর পরিবারের সদস্যদের মন ভেজেনি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এগিয়ে আসেন পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতি সদস্যরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ দু’পক্ষকে নিয়ে সমাধান সূত্র খুঁজতে বসেন তাঁরা। সুশান্ত জানান, বিয়ে যে করব ধুতি-পাঞ্জাবি কেনার মতো অর্থও এই মুহুর্তে নেই। সঙ্গে সঙ্গে পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতির সদস্যরা এবং এলাকার বাসিন্দারা বিয়ের খরচের ব্যবস্থা করেন। সকলের উপস্থিতিতে স্থানীয় কালী মন্দিরে সাত পাকে বাঁধা পড়ল চুমকি ও সুশান্ত।