ফের রুটি রুজিতে টান পড়ার আশঙ্কায় বর্ধমান স্টেশন এলাকার হকাররা। বুধবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উত্তরোতর করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির ঘটনায় সমস্ত লোকাল ট্রেন বাতিল করার কথা ঘোষণার পরই এই আতঙ্ক ছড়াল হকারদের মধ্যে। এদিন বর্ধমান স্টেশন এলাকার ঝালমুড়ি বিক্রেতা বাবু দাস জানিয়েছেন, লোকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ায় তাঁদের চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে। এরপর যদি এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে কার্যত তাঁদের অনাহারেই দিন কাটাতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, এমনিতেই অনেক দূরপাল্লার ট্রেন বর্ধমান স্টেশনে থামে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের জেরে সেগুলি যদি না থামে তাহলে তাঁরা চরম সঙ্কটে পড়বেনই। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমবার করোনা সংক্রমণের জেরে তাঁদের আর্থিক অবস্থা একেবারেই তলানিতে এসে ঠেকেছে। একটু একটু করে তাঁরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলেন। এমতাবস্থায় ফের লোকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ায় তাঁরা কার্যত অসহায় হয়ে পড়লেন।

এদিকে, লোকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ায় তার প্রভাব এবার সরাসরি বাজারেও পড়তে চলেছে। কারণ এই লোকাল ট্রেনের মাধ্যমেই বিভিন্ন জায়গায় মালপত্র নিয়ে ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করেন। বর্ধমান শহরের কাঁচা বাজারের অধিকাংশ মালই আসে জামালপুর, মেমারি, শিবাইচণ্ডী প্রভৃতি এলাকা থেকে। লোকাল ট্রেন বন্ধ হওয়ায় সেই সমস্ত মালপত্র বাজারে না আসার সম্ভাবনা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, যদিও কিছু মালপত্র আসে তার দামও বাড়বে। কারণ ট্রেন বন্ধ হওয়ায় অন্যান্য পরিবহণের মাধ্যমে তাঁদের মালপত্র আনতে পরিবহণ খরচ বাড়বেই – যার প্রভাব কাঁচা শাক সব্জির বাজারে পড়বে। ফলে শহরে দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

Like Us On Facebook