রাত পোহালেই বড়দিনের উৎসব। বড়দিনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। চার্চগুলিও সেজে উঠেছে। কিন্তু বড়দিনের প্রিয় কেক প্রস্তুতকারি স্থানীয় বেকারিগুলির এবার মাথায় হাত। জিএসটি আর খুচরোর জেরে রীতিমত নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে বেকারি মালিকদের। কেককে কুকিসের অধীনে নিয়ে আসায় কেকের ওপর ১৮ শতাংশ জিএসটি লাগু হয়েছে। ফলে গতবছরও কেকের যে দাম ছিল তা এবার একলাফে অনেকটাই বাড়ছে। ফলে অন্যান্য বছরে যেমন বড়দিনের প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই বাজারে স্থানীয় বেকারির তৈরি হরেকরকম কেকের দেখা মিলত, এবারে তা নেই। এরই পাশাপাশি জিএসটির জন্য কেকের উৎপাদন, মেয়াদ উত্তীর্ণ, মোড়ক সবেতেই ফুড ভ্যালু মেনে তা নথীভুক্ত করার নির্দেশ থাকায় কেক উৎপাদন নিয়ে রীতিমত চিন্তিত বেকারি মালিকরা।
বর্ধমানের বেকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবারে কেক উৎপাদন করার ক্ষেত্রে তারা আর কোন ঝুঁকি নিতে পারছেন না। যেহেতু তাঁদের ব্যবসা চলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চায়ের দোকান বা খুচরো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। এমনকি তারা এজন্য মালের বিনিময়ে যে অর্থ তাঁদের দেন তার সিংহভাগই খুচরো পয়সায়। আর তাতেই এবারে ভয়াবহ সমস্যা দেখা দিয়েছে। কার্যত তাদের কাছে খুচরোর পাহাড় জমে উঠেছে। ব্যাঙ্ক খুচরো না নেওয়ায় ব্যবসা চালানোই দায় হয়ে উঠেছে। পোলেমপুরের বেকারি কারখানার মালিক মহম্মদ সামিম জানিয়েছেন, কেকের ওপর জিএসটি লাগু হওয়ায় এবং একাধিক নিয়ম মানার নির্দেশ থাকায় কেক উৎপাদন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আগে যে কেকের দাম ছিল গড়ে ৫০ টাকা তার দাম এবার বেড়ে হতে চলেছে প্রায় ৭০ টাকা। ফলে খরিদ্দাররা তা কিনবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে খুচরোর সমস্যা।