কৃষক স্বার্থে ৭ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) প্রবীর চট্টোপাধ্যায়ের কাছে স্মারকলিপি দিল সিপিআইএমএলের বর্ধমান জেলা কমিটি। কমিটির পক্ষে সলিল দত্ত এদিন জানান, সম্প্রতি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে চাষিরা ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নাম করে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। এর সঙ্গে রয়েছে জেলার পাটচাষীদের দূরাবস্থা। পাট চাষের উৎপাদন খরচের তুলনায় সরকারি সংগ্রহ মূল্য অনেক কম। আবার সরকারি সংগ্রহ মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে সঠিকভাবে পাট কেনাও হচ্ছে না। এদিন তাঁরা দাবি রেখেছেন, অবিলম্বে পাটের দাম কুইণ্টাল প্রতি ৩৫০০ টাকার পরিবর্তে ৫ হাজার টাকা করে ওই দামে সরকারকে পাট কিনতে হবে। এছাড়াও সাম্প্রতিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের হয়রানি বন্ধ করে তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে। বছরে ১০০ দিনের কাজের নিশ্চয়তা প্রদান করা, বকেয়া মজুরী প্রদান করা এবং দুর্নীতি বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে। দাবি জানানো হয়েছে, সরকারি গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে দুর্নীতি ও দলবাজি বন্ধ করারও।
সিপিআইএম লিবারেশনের পাশাপাশি এদিন কৃষি ও কৃষক স্বার্থে বর্ধমান জেলা বামপন্থী কৃষক ক্ষেতমজুর সংগঠনের ডাকে কোর্ট কম্পাউণ্ডের নেতাজী মূর্তির পাদদেশে বিশাল জমায়েত করা হয়। এই গণ অবস্থানে বক্তব্য রাখেন সিপিএমের জেলা সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক সহ জেলা কমিটির সদস্য আব্দার রেজ্জাক মণ্ডল,অমল হালদার, উদয় সরকার প্রমুখরাও। সভায় কেন্দ্রের বিজেপি ও বাংলার তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তোলেন বাম নেতারা। এই গণ অবস্থান থেকে দাবি তোলা হয় কৃষকের ফসল উৎপাদন খরচের দেড়গুণ দামে সরকারকে ফসল কিনতে হবে। কৃষকের সমস্ত কৃষি ঋণ মুকুব করা, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি বন্ধ করা এবং বছরে ১০০ দিনের কাজের পরিবর্তে ২০০ দিন কাজ দেওয়া এবং ৩০০ টাকা মজুরী দেবার দাবি তোলা হয়।