বুদবুদ থানাকে বর্ধমান আদালতের আওতায় আনার দাবিতে বুধবার থেকে বর্ধমান আদালতের আইনজীবীদের কর্মবিরতি শুরু হতেই বিচারপ্রার্থীরা সমস্যার মুখে পড়লেন। আইনজীবীদের এই কর্মবিরতির পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ল-ক্লার্করাও। ফলে বিচারপ্রার্থীদের হয়রানি এদিন থেকেই তুঙ্গে উঠেছে। বর্ধমান আদালতের আইনজীবীদের এই আন্দোলনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন কালনা আদালতের আইনজীবীরাও। তাঁরাও বর্ধমান আদালতের আইনজাবীদের এই দাবিকে সমর্থন করে আগামী সোমবার কালনা আদালতে প্রতীকি কর্মবিরতি পালন করবেন।
এদিকে, বুধবার থেকে একটানা ৭দিন ধরে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্ধমান আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশন। এর ফলে বুধবারই বর্ধমান আদালতের বিভিন্ন এজলাসে মামলার শুনানি হয়নি। এর ফলে চুড়ান্ত হয়রানির মুখে পড়েন বিচারপ্রার্থীরা। এরই পাশাপাশি ল-ক্লার্করাও আইনজীবীদের পাশে এসে দাঁড়ানোয় এদিন জামিন পেলেও অনেক অভিযুক্ত বেল বণ্ডের অভাবে জামিন পাননি। তাদের ফের জেল হেফাজতেই ফিরে যেতে হয়েছে। বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তা এদিন জানিয়েছেন, বিচারপ্রার্থীরা এই কর্মবিরতির জেরে সমস্যায় পড়ছেন এটা ঠিকই, কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থের জন্যই এই আন্দোলন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা বিচার বিভাগের সর্বস্তরে তাঁদের এই ন্যায্য দাবি জানিয়েছেন কিন্তু এখনও কোন উত্তর তাঁরা পাননি। বর্ধমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনই সিজেএম আদালতে গড়ে ১০টি করে মামলা রুজু হলেও এদিন কোন মামলাই রুজু হয়নি। এদিন ফৌজদারী ও দেওয়ানী আদালতেও একই চিত্র দেখা গেছে। উল্লেখ্য, এদিন বুদবুদ থানাকে বর্ধমান আদালতের অধীনে আনার দাবীতে আইনজীবীরা বিক্ষোভ জমায়েত করেন আদালত চত্বরে।