নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে ব্যাঙ্কের লাইনে কাকভোর থেকে অপেক্ষায় থাকা মানুষদের চা-বিস্কুট খাওয়াচ্ছেন কুলটির জনা ১২ যুবক। এই যুবকদের সেবা পেয়ে সকলে তাদের আশীর্বাদ করছেন। চা ও বিস্কুট খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও লাইন ছেড়ে যাওয়া মুশকিল। সেখানে হাতের কাছে বিনামূল্যে চা-বিস্কুট পেয়ে লাইনে অপেক্ষারত মানুষেরা খুশি।
আগের কয়েকদিনের মত মঙ্গলবারও কুলটির নিয়ামতপুর এসবিআই ব্যাঙ্কের সামনে কাকভোর থেকে লাইনে অপেক্ষারত গ্রাহকরা। সাধারন মানুষের নাজেহাল অবস্থা দেখে স্থানীয় ১০-১২ জন যুবক, এরা কোন রাজনৈতিক দলের নয়। সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে আজ সারাদিন সেবা করে গেলেন লাইনে থাকা গ্রাহকদের। আজ ভোর থেকে দেখা মিলল জনা ১২ যুবককে কেটলিতে চা ও হাতে বিস্কুটের প্যাকেট নিয়ে লাইনের ধারে ঘোরাঘুরি করতে।
অশোক চক্রবর্তী, লাইনে অপেক্ষারত এক গ্রাহক জানালেন,”প্রথমে ভাবলাম চা খেলে হয়তো পয়সা দিতে হবে। কিন্তু সেটা হল না। ওরা নিল না পয়সা। তখন আমার মতো অন্যান্য গ্রাহকদের বুঝতে অসুবিধা হল না যে এরা স্বেচ্ছায় সেবা করতে এসেছে।” তিনি আরও জানান লাইনের শেষ থেকে ব্যাঙ্কের গেট পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকা গ্রাহকদের বিনামূল্যে চা ও বিস্কুট পরিবেশন করে গেলেন ওরা। শুধু একবারই নয় গ্রাহকদের ইচ্ছা অনুযায়ী চা ও বিস্কুট পরিবেশন করলেন। এই যুবকরা হলেন সুরজ সাউ, ভগিরথ রুইদাস, প্রদীপ রুইদাস, রিন্টু সাউ, অ্যানথনি গুপ্তা, ছোটু গুপ্তা, সুশিল কর্ম্মকার, শ্যাম সাউ সহ অন্যান্যরা। তাঁদের ইচ্ছা আগামীকালও এই পরিষেবা দেবেন।