তামিলনাড়ুর এক কলেজ ছাত্র তাঁর সুইসাইড নোটে লিখেছিলেন, ‘ব্লু হোয়েল এক ভয়ঙ্কর মারণ খেলা। এখানে একবার ঢুকলে বেরিয়ে আসা যায় না।’ দেশ জুড়ে আতঙ্কের নতুন নাম এখন এই ‘নীল তিমি’ বা ব্লু হোয়েল গেম। পৃথিবী জুড়ে নীল তিমির খপ্পরে পড়ে ইতিমধ্যেই ঝরেছে বেশ কিছু তাজা প্রাণ। আর এই নীল তিমি নিয়ে উৎসাহ ভারতেও কিছু কম নয়। গত এক বছরের গুগল সার্চ ট্রেন্ড অনুযায়ী ‘download blue whale game’ এই keyword phrase টি গুগলে সার্চের নিরিখে ভারত শীর্ষে। পাশাপাশি এই keyword phrase টির গত তিন মাসের সার্চ ট্রেন্ড অনুযায়ী বিশ্বের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা শহর। কখনও কখনও কোচি বা গুয়াহাটি প্রথম স্থানে উঠে আসছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয় হল, এই তালিকার প্রথম পাঁচটি শহর ভারতের। এছাড়াও গুগলের এই সার্চ প্রবণতার পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে জুলাই ২০১৭ থেকে এই সার্চ অস্বাভাবিক রকম ঊর্ধমুখী।
ব্লু হোয়েল গেম কি?
২০১৩ সালে ব্লু হোয়েল গেম বা ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ নামের এই মারণ খেলার উৎপত্তি রাশিয়ায়। ফিলিপ বুদেকিন নামে সাইকোলজির এক ছাত্র এই মারণ গেমের সৃষ্টিকর্তা বলে জানা গেছে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল ছেড়ে ডাঙায় ওঠে৷ যেন আত্মহত্যার জন্যই৷ সেই থেকেই এই গেমের নাম হয়েছে ‘ব্লু হোয়েল’ বা নীল তিমি৷ খেলার সময়সীমা ৫০ দিন৷ খেলার নির্দেশ অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীকে ৫০টি টাস্ক শেষ করতে হয়৷ এর মধ্যে রয়েছে নিজেকে আঘাত করা সহ নানারকম ভয়ানক টাস্ক৷ শুরুর টাস্কগুলি অবশ্য তেমন ভয়ঙ্কর নয়৷ বরং বেশ মজারই৷ আর সেই কারণেই এই গেমের প্রতি সহজেই আকৃষ্ট হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা৷ গেমের লেভেল যত এগোয়, ততই ভয়ঙ্কর হতে থাকে টাস্কগুলি৷ এই টাস্কগুলিতে অংশগ্রহণের পর সেই ছবি পোস্ট করতে হয় এর গেমিং পেজে৷ প্রতিযোগিতার একেবারে শেষে, অর্থাৎ ৫০ তম টাস্কের শর্তই হলো আত্মহনন৷
রাশিয়ায় ২০১৫ সালে ব্লু হোয়েল গেম খেলতে গিয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসে। এরপর প্রায় শতাধিক তাজা প্রাণ ঝরে পড়েছে এই নীল তিমির খপ্পরে। এই মারণ গেমের হাত থেকে রক্ষা পেতে সর্বস্তরে তৈরি করতে হবে সচেতনতা। এই ভয়ঙ্কর গেম নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের সিআইডি তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও আপলোড করেছে। এই সুইসাইড গেম নিয়ে তথ্যপূর্ণ সেই ভিডিওটি দেখুন…