ভাড়া করা ইনোভা গাড়ির চালককে খুন করে গাড়ি নিয়ে পালাবার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গাড়ি ফেলে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। খুন হওয়া ইনোভা গাড়ির চালক কুন্দন মহারাজের(২২) দেহ উদ্ধার হয় বর্ধমানের বেচারহাটের সতীমা কোল্ডস্টোর সংলগ্ন এলাকায় জাতীয় সড়কের পাশে। তার গাড়িটি উদ্ধার হয় প্রায় ১৫ কিমি দূরে জাতীয় সড়কে নলা এলাকায়। কুন্দন হাওড়ার লিলুয়ার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের বেচারহাট এলাকায় এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে এটা দুর্ঘটনা মনে হলেও পরে পুলিশ বুঝতে পারে এটা খুন। এর কিছুক্ষণ পরে পুলিশ নলা এলাকা থেকে একটি ইনোভা গাড়ি উদ্ধার করে। গাড়িটি জাতীয় সড়কের ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে দাঁড়িয়ে যাওয়া অবস্থায় পায় পুলিশ। গাড়ির ভিতরে রক্তের দাগ ও একটি অস্ত্র দেখে পুলিশের সন্দেহ ঘনীভূত হয়। এরপর গাড়ির মধ্যে থাকা ফোন মারফৎ পুলিশ গাড়ির মালিক তথা কুন্দনের বাবার সঙ্গে কথা বলে পুরো ঘটনা জানতে পারে।
কুন্দনের বাবা সুরেন্দর মহারাজ জানান, তাঁদের গাড়ি ভাড়া দেওয়ার ব্যবসা আছে। শুক্রবার বিকেলে কুন্দন হাওড়ার অশোকা হোটেলের সামনে তাঁদের ইনোভা গাড়িটি নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেই সময় চার ব্যক্তি এসে গাড়ি ভাড়া নিয়ে বর্ধমান যাওয়ার কথা জানালে ড্রাইভার না থাকায় কুন্দন নিজেই ওই চার যাত্রীকে নিয়ে বর্ধমানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সেকথা কুন্দন তার বাড়িতে জানিয়েও দেয়। এরপর দীর্ঘক্ষণ কুন্দনের সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পেরে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন পরিবারের লোকজন। পরে বর্ধমান পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে কুন্দনের বাবা ও পরিবারের অন্যান্যরা বর্ধমান চলে আসেন এবং রাতে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এদিকে কুন্দনকে খুন করে জাতীয় সড়কের ধারে ফেলে দিয়ে ইনোভা গাড়িটি নিয়ে চম্পট দিতে গিয়ে বর্ধমানের নলা এলাকায় জাতীয় সড়কের ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে গাড়িটি দাঁড়িয়ে যায় বলে জানা গেছে। দুষ্কৃতীরা ধরা পরার ভয়ে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। গাড়ি হাইজ্যাকের জন্যই কুন্দনকে খুন করা হয়েছে না খুনের পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।