ফের কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েরা এবং শিক্ষকরা খবর পেয়ে এক নাবালিকার বিয়ে আটকে দিলেন। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলিক পাড়ায়। বৃহস্পতিবার সকালে উদয়পল্লী শিক্ষানিকেতন হাইস্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের মেয়েরা খবর পান মিলিক পাড়ার বাসিন্দা এবং তাদের সহপাঠিনীর বিয়ের খোঁজখবর চলছে। খবর পেয়েই স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোপাল ঘোষালের নেতৃত্বে স্কুলের কন্যাশ্রী ক্লাবের শিক্ষিকা কাকলী সরকার এবং কন্যাশ্রী ক্লাবের ৬ জন মেয়ে মিলিক পাড়ায় যান ওই নাবালিকা তথা দশম শ্রেণীর ছাত্রীর বাড়িতে। নাবালিকার বাবা মা তাঁদের জানান, নাবালিকার ঠাকুমার আবদারেই মেয়ের বিয়ের যোগাযোগ চলছে। ইতিমধ্যে একটি পাত্রপক্ষ দেখেও গেছেন। এরপরই কন্যাশ্রী ক্লাবের টিম তাদের বোঝান, কেন অল্প বয়সে বিয়ে করা বা বিয়ে দেওয়া ঠিক নয়। শুধু ওই ছাত্রীর অভিভাবকদেরই নয়, গোটা বিষয়টি নিয়ে সচেতন করতে এদিন গোটা মিলিক পাড়া জুড়েই তারা প্রচার চালান।
প্রধান শিক্ষক জানান, অনেকসময়ই তাঁরা খবর পান নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে। তাঁরা গিয়ে তা বন্ধও করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার মাঝেই তারা সঠিক সময় উপস্থিত হতে পেরেছেন। কারণ বিয়ের সময় বা বিয়ের দিন গিয়ে তারা বিয়ে বন্ধ করলেও তার জন্য অনেক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলি। এক্ষেত্রে তাঁরা অনেক আগেই এই বিয়ে বন্ধ করতে পারায় খুশী। শুধু তাই ই নয় ওই স্কুল ছাত্রীকে নিয়মিত স্কুলে পাঠাতেও বলেছেন অভিভাবকদের।