সেখ আফ্রিদি, বর্ধমান পৌর বালক বিদ্যালয়

এবছর মাধ্যমিকের ফলাফলে বর্ধমান পৌর বালক বিদ্যালয়ের ছাত্র তথা খণ্ডঘোষের পোলেমপুর গ্রামের বাসিন্দা সেখ আফ্রিদি ৬৮১ পেয়ে যুগ্মভাবে দশম স্থান অধিকার করেছে। আফ্রিদির বাবা স্থানীয় রেশন ডিলার। মা নিপাট গৃহবধু। আফ্রিদি জানিয়েছে ৭ জন গৃহশিক্ষক ছিল তার। পড়াশোনার জন্য সেরকমভাবে নির্দিষ্ট করে সময় বাঁধা না থাকলেও গড়ে প্রতিদিন ৫-৭ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছে। স্কুলের শিক্ষকের পাশাপাশি তার কাছে এই অপ্রত্যাশিত ফলাফলের জন্য মাকেই কৃতিত্ব দিয়েছে। মা বিউটি বেগম জানিয়েছেন,অনেকদিনই পড়তে পড়তে আফ্রিদি খাবার কথাই ভুলে যেত। তাকে খাইয়েও দিতে হত। আফ্রিদি জানিয়েছে সে ভাল ফল আশা করেছিল কিন্তু রাজ্যের মেধা তালিকায় থাকবে এটা তার কাছে অপ্রত্যাশিতই। ক্রিকেট খেলতে, দাবা খেলতে ভাল লাগে। ভাল লাগে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণের লেখা পড়তে। সব থেকে ভাল লাগে বন্ধুদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা দিতে। প্রিয় বিষয় বায়োলজি এবং ফিজিক্স। ভবিষ্যতের ইচ্ছা ডাক্তার হওয়ার।

অর্ধেন্দু মৌলি ঘোষ, মেমারী বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দির ইউনিট-১

অন্যদিকে, সেখ আফ্রিদির মতই রাজ্যে যুগ্মভাবে দশম স্থান অধিকার করেছে মেমারীর বিদ্যাসাগর স্মৃতি বিদ্যামন্দির ইউনিট-১ এর ছাত্র অর্ধেন্দু মৌলি ঘোষ। বাবা নবকুমার মৌলি ঘোষ পেশায় শিক্ষক। মা গৃহবধু। তারও ৭জন গৃহশিক্ষক ছিল। আফ্রিদির মত তারও ভাল লাগে ক্রিকেট এবং দাবা খেলতে। প্রিয় ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। প্রিয় লেখক তারও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। পড়াশোনার জন্য বাঁধা ধরা কোনো নিয়ম তার ছিল না।

Like Us On Facebook