শুক্রবার বর্ধমানে মোদী ফেস্টের উদ্বোধন করলেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। বর্ধমান টাউন হলে উদ্বোধন সেরে দফায় দফায় বিজেপির দলীয় বৈঠক করেন তিনি। শনিবারও দিনভর তার দলীয় কর্মসূচী রয়েছে। এদিকে, এরই মাঝে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে রঘুবর দাস বলেন, ঝাড়খণ্ড রাজ্যে দলিতদের উন্নয়নে ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ঝাড়খণ্ডে গো হত্যা বন্ধ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এদিন তিনি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিই দিকে দিকে জয়লাভ করবে। এমনকি এখনই যদি এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয় তাহলে বিজেপিই সরকার গড়বে।
অন্যদিকে, বর্ধমান টাউন হলে আয়োজিত এই সরকারি অনুষ্ঠানে এসে রীতিমত বিজেপির দলীয় প্রচারও করে গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এমনকি ফের সিপিএমের সুরেই সিঙ্গুর কাণ্ডকে উসকে দিয়ে গেলেন। দিলীপবাবু এদিন কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রচারের পাশাপাশি তিনি বলেন, একটা কারখানা বন্ধ করেই ইতিহাসের পাতায় নাম তুলেছে রাজ্য সরকার। তাহলে সিপিএম আমলে ৫৪ হাজার কারখানা বন্ধ করা হয়েছিল। সিপিএমের স্থান কোথায় হবে? দিলীপবাবু বলেন, কৃষিও চাই, শিল্পও চাই। এভাবে কারখানা বন্ধ করা ঠিক হয়নি। তিনি এদিন ফের বলেন, বিজেপি শাসিত সরকারের কোনো নেতা মন্ত্রী দুর্নীতির দায়ে জেলে যায়নি। তাঁদের নামে এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগও ওঠেনি। অথচ বাংলার এই সরকারে চলছে সম্পূর্ণ অরাজকতা। এখানে নেতারা দুর্নীতির দায়ে জেলে যাচ্ছেন। কারখানা বন্ধ। জুট মিল বন্ধ। শিক্ষার নামে উপাচার্যকে ঘেরাও করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এই রাজ্যে কাজ নেই। পিএইচডি করেও কিংবা রাজমিস্ত্রীদেরও কাজের জন্য বিজেপি শাসিত রাজ্যে যেতে হচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলার রাজনীতি নিয়ে ভাবতে হবে। উন্নয়ন হচ্ছে না। মোদি ফেষ্টের এই অনুষ্ঠানেই দিলীপবাবু বলেন,কেন্দ্রীয় সরকার তথা মোদিজীর এই জনদরদী প্রকল্পগুলির সুফল যাতে সব মানুষ পায় তার জন্য চেষ্টা করতে হবে। অন্যান্যদের মধ্যে এদিন এই সভায় হাজির ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী, বর্ধমান জেলার পর্যবেক্ষক অনল বিশ্বাস, বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য সুনীল কুমার গুপ্তা প্রমুখরাও।