চাকরিতে বন্ধুর পদোন্নতি সহ্য করতে না পেরে নৃশংসভাবে সেই বন্ধুকেই খুন করল অপর বন্ধু। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জের একটি রাইস মিলে। নিহত যুবকের নাম টুটুল মণ্ডল (১৯)। বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়ার পাথুরি গ্রামে।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করা মেধাবী ছাত্র টুটুল মণ্ডলকে তাঁদেরই গ্রামের বিকাশ চন্দ্র গড়াই বর্ধমানের ওই রাইস মিলে কাজের ব্যবস্থা করে দেন। ওই মিলে আগে থেকেই কাজ করতেন বিকাশ। শ্রমিক হিসাবে কাজে ঢুকলেও শিক্ষিত হওয়ার সুবাদে মালিক পক্ষ তাঁকে শ্রমিক থেকে সুপারভাইজার পদে উন্নীত করেন। আর তারপর থেকেই প্রতিহিংসায় জ্বলতে থাকেন টুটুলের বন্ধু বিকাশ।
টুটুলের আত্মীয় সুমন মণ্ডল জানিয়েছেন, পুজোর সময় নবমীর দিন টুটুল বাড়ি যায়। কিন্তু পরের দিনই বিকাশ তাকে মিলে কাজ আছে বলে নিয়ে চলে আসেন। টুটুলের এই কাজের ক্ষেত্রে উন্নতিতে বিকাশ টুটুলকে প্রায়ই হুমকি দিত। সুমনবাবুর বলেন, ‘এই হুমকির বিষয়ে টুটুল বাড়িতেও জানিয়েছিল। বুধবার রাতে বিকাশই তাঁকে ফোন করে জানান, টুটুল গুরুতর অসুস্থ। এই খবর শুনে রাতেই তাঁরা বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলে আসেন এবং টুটুলের রক্তাক্ত মৃতদেহ শনাক্ত করেন। টুটুলের মাথার পিছনের দিক ভারী কোন বস্তু দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। তার গলায় পেঁচানোর দাগও রয়েছে। নৃশংসভাবে তাকে খুন করা হয়েছে।’ এই ঘটনায় বিকাশের ফাঁসির আবেদন করেছেন টুটুলের পরিবারের লোকজন।
এব্যাপারে বর্ধমানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় জানিয়েছেন, খুনের বিষয়টি বিকাশ স্বীকার করেছে। খুন করার পর বৃহস্পতিবার রাতেই সে বর্ধমান থানায় আত্মসমর্পণের চেষ্টাও করে। কিন্তু ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়। যদিও বৃহস্পতিবার সকালে সে নিজে এসেই থানায় আত্মসমর্পণ করে এবং টুটুলকে খুনের কথা স্বীকার করেছে।