শুক্রবার বিকেল থেকেই গোটা জেলা জুড়ে জাওয়াদ ঝড়ের প্রভাবে আকাশ মেঘলা হয়ে ছিল। শনিবার সকাল থেকে সেই মেঘলা আকাশের সঙ্গে শুরু হল দফায় দফায় ঝিরঝিরে বৃষ্টি। এদিকে, শুক্রবার থেকেই গোটা জেলা জুড়ে ব্লকে ব্লকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকের মাধ্যমে দুর্যোগের সতর্কতামূলক প্রচার শুরু হয়েছিল। বিশেষত, দ্রুততার সঙ্গে পাকা ধান কেটে তা তুলে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ জারী করা হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকে জাওয়াদ ঝড়ের মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং শুরু করল পূর্ব বর্ধমান জেলা দমকল ও জরুরী ব্যবস্থাপন দফতর। জাওয়াদের প্রভাবে আগামী দুদিন প্রাকৃতিক দুর্যোগ চলবে রাজ্যজুড়ে। যার প্রভাব পড়বে পূর্ব বর্ধমানেও। তাই ঝড়কে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরণের বিপদ থেকে মানুষকে সজাগ ও সচেতন করতে শুরু হয় মাইকিং। জেলা দমকল ও জরুরী ব্যবস্থাপন দফতরের পক্ষ থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে করা হচ্ছে মাইকিং। আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে পাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী জাওয়াদ ক্রমশ শক্তি হারিয়ে গভীর থেকে গভীরতর নিম্নচাপে পরিণত হচ্ছে। যার জেরে আগামী দু’দিন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানেও দুর্যোগ চলবে। ঝোড়ো হাওয়া, বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভবনার কথা আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এই দুর্যোগে সাধারণ মানুষ যাতে কোনো রকমের বিপদের সম্মুখীন না হয় তার জন্যই মানুষকে সচেতন করতে দমকল ও জরুরী ব্যবস্থাপন দফতরের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ বলে দফতর সূত্রে জানা গেছে।
জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানিয়েছেন, জাওয়াদ সতর্কতায় তৈরী রয়েছে জেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট সমস্ত দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আগাম সতর্কতায় এনডিআরএফের একটি টিমকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। শনিবার রাতের মধ্যেই এনডিআরএফ টিম বর্ধমানে পৌঁছে যাবে বলে তিনি জানিয়েছেন।