বন্ধুর সাথে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম সন্দেহে বন্ধুর গলায় ধারালো ছুরির কোপ স্বামীর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার ভগবতীপুর গ্রামে। ঘটনার পর গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত স্বামী শ্রীমন্ত রায়। সোমবার রাতে হুগলির আরামবাগ থেকে রায়না থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার ধৃতকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে। বিচারক ধৃতের তিন দিন পুলিশ হেপাজত মঞ্জুর করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রায়না থানার ভগবতীপুর গ্রামে বাড়ি শ্রীমন্ত রায়ের। তার বন্ধু ত্রিদিব পাল একই গ্রামের বাসিন্দা। ক্ষেতমজুর পরিবারের এই দুই যুবকের বন্ধত্ব দীর্ঘ দিনের। বন্ধুত্বের সুবাদে তাঁদের একে অপরের বাড়িতে নয়মিত যাতায়াত ছিল। সম্প্রতি শ্রীমন্ত সন্দেহ করে বন্ধু ত্রিদিবের সঙ্গে তার স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম গড়ে উঠেছে। এসব নিয়ে চরমে ওঠে দুই বন্ধুর বিরোধ। স্ত্রী সঙ্গে সম্পর্ক না রাখার কথা শ্রীমন্ত জানিয়ে দেয় ত্রিদিবকে। তবুও সন্দেহ শ্রীমন্তকে পিছু তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। কিছুদিন যাবৎ চলছিল একে অপরকে হুমকি ও পাল্টা হুমকি দেওয়ার পালা। গত রবিবার রাতে বন্ধু ত্রিদিব পালের গলায় আচমকা ধারাল ছুরির কোপ বসিয়ে দিয়ে শ্রীমন্ত বেপাত্তা হয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় জখম ত্রিদিবকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা ভর্তি করে বর্ধমান হাসপাতালে। ঘটনা সবিস্তার জানিয়ে জখম ত্রিদিবের বাবা অমল রায় রায়না থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা রুজু করে তদন্তে নামে রায়না থানার পুলিশ। সোমবার রাতে হুগলির আরামবাগ থেকে পুলিশ শ্রীমন্ত রায়কে গ্রেফতার করে।

রায়না থানায় শ্রীমন্ত রায় জানিয়েছে, আমাকে ব্ল্যাকমেল করে আমার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে চায় ত্রিদিব। ওকে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু কোন কথা শুনতে চায়নি। শ্রীমন্ত দাবি করে, নিষেধ না মেনে উল্টে ত্রিদিব তাকে হুমকি দিত। এসবের বদলা নিতেই সে এই ঘটনা ঘটাতে বাধ্য হয়েছে।

Like Us On Facebook