অবশেষে বর্ধমান পুরসভার ১৮নং ওয়ার্ডের বংপুর এলাকার অবৈধ নির্মাণকে ভেঙে দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ রহমান দাঁড়িয়ে থেকে ওই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেন। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, জেলা পুলিশ সুপার কুণাল আগরওয়াল সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা সরাইটিকর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেহুলা নদী বুজিয়ে সেখানে বাড়ি তৈরির অভিযোগ পান। আরও অভিযোগ পান ১৮নং ওয়ার্ডের বংপুর এলাকায় বাঁকা নদীর ওপর বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে বলেও। এরপরই তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয় ১৮নং ওয়ার্ডের অবৈধ নির্মাণকে। জানা গেছে, এই ঘটনার পর রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। কেবলমাত্র ১৮নং ওয়ার্ডই নয়, পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডেই এই অবৈধ নির্মাণ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার ১৮নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রদীপ রহমান নিজে দাঁড়িয়ে থেকে বংপুরের ওই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেন।
গোটা পুরএলাকা জুড়ে বিভিন্ন অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ওঠায় এবার সরাসরি অবৈধ নির্মাণ নিয়ে তদন্তে নামতে চলেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বর্ধমান পুরসভার ১৮নং ওয়ার্ডের বংপুর এলাকার একটি অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বর্ধমানের সরাইটিকর গ্রাম পঞ্চায়েতে বেহুলা নদী বুজিয়ে সেখানে বাড়ি তৈরির বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। একইসঙ্গে বর্ধমান পুরসভার ১৮নং ওয়ার্ডের বংপুর এলাকাতেও অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে দুটি জায়গাতেই গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যান জেলাশাসক এবং জেলা পুলিশ সুপার সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। এরপরই জেলাশাসক ভূমি দপ্তরের কাছে এই অবৈধ নির্মাণ নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। অভিযোগ খতিয়ে দেখে বর্ধমান পৌরসভা ও ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে বেআইনী নির্মান ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন। এরপরই বৃহস্পতিবার ভেঙে ফেলা হয় বেআইনী নির্মাণ। ভবিষ্যতেও বেআইনী নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।