অগ্নিদগ্ধ হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হল। মৃতার নাম মুনমুন মণ্ডল (২৮)। বাড়ি বর্ধমানের শক্তিগড় থানার নান্দুর এলাকায়। শনিবার বর্ধমান হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই গৃহবধূর। এই ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বাপেরবাড়ির লোকজন।
বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক রয়েছে এই সন্দেহের বশে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই বধূকে মারধর করত বলে অভিযোগ। লাগাতার অশান্তি ও মারধরের জেরেই আত্মহত্যা বলে অভিযোগ। মৃতার মা আল্পনা মালিক জানিয়েছেন, প্রায় ৯ বছর আগে মুনমুনের সঙ্গে বিয়ে হয় পেশায় দিনমজুর রণজিত মণ্ডলের। তাদের ৮ বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি রণজিত মণ্ডল বাড়িতেই বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে এসে মদের আসর বসাতে থাকে। তা নিয়ে বাধা দেয় মুনমুন। ওই বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে মুনমুনের সম্পর্কে রয়েছে সন্দেহ করে অত্যাচার শুরু করে রণজিত। তারই জেরে গত ৩১ মে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে মুনমুন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবারের লোকজন। পুলিশ মৃতার স্বামী রণজিত মণ্ডল এবং এক ননদকে আটক করেছে।
