ভাইকে রাখি পড়াতে যেতে না পেরে অভিমানে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হলেন দিদি। মৃতার নাম সন্তোষী খাঁ (২০)। শ্বশুরবাড়ি দেওয়ানদিঘি থানার নান্দুড় গ্রামে।
মৃতার মা গাংপুরের বাসিন্দা আল্পনা সাহা জানিয়েছেন, রবিবার রাখি পূর্ণিমায় তিনি মেয়েকে আসতে বলেছিলেন। প্রতিবারই সে ভাইকে রাখি পড়াতো। প্রায় ৩ বছর আগে নান্দুড়ের বাসিন্দা মিঠুন খাঁ-এর সঙ্গে বিয়ে হয় সন্তোষীর। মিঠুন খাঁ পেশায় গাড়ি চালক। আল্পনাদেবী জানিয়েছেন, কাছাকাছি এলাকায় সন্তোষীর বিয়ে হওয়ায় প্রায়শই সে শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে চলে আসত। তা নিয়ে কখনো শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাধা দেয়নি। এমনকি অনেক সময় স্বামী বা শ্বশুর এসে তাকে পৌঁছে দিয়ে গেছে। তিনি জানিয়েছেন, রবিবার দুপুরে সন্তোষী তাঁকে ফোনে জানায়, তাকে আসতে বাধা দিচ্ছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আল্পনাদেবী জানিয়েছেন, এরপরই তিনি কিছু কেনাকাটার জন্য বাজারে চলে যান। সেই সময় তাঁকে মিঠুন খাঁ ফোনে জানান, সন্তোষীকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আচমকা এই খবর শুনেই তিনি হাসপাতালে ছুটে যান। কিন্তু তিনি হাসপাতালে যাওয়ার প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে দুপুর আড়াইটে নাগাদ সন্তোষীকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আল্পনাদেবী জানিয়েছেন, কিভাবে এই ঘটনা ঘটল তিনি কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। অন্যদিকে, শ্বশুরবাড়ির লোকজনও এব্যাপার কিছু বলতে পারেনি।