আগামী ৫ মাসের মধ্যে কলকাতার পর রাজ্যে দ্বিতীয় বর্ধমানের অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চালু হতে চলেছে ওপেন হার্ট সার্জারি। সোমবার অনাময় হাসপাতালে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গেলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি তথা ওপেন হার্ট সার্জারির দিকপাল সার্জেন প্রফেসর প্লাবন মুখার্জী।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. কৌস্তভ নায়েক জানিয়েছেন, বর্তমানে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাশাপাশি অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে অত্যন্ত উন্নতমানের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় অনাময়ে আগামী ২-৫ মাসের মধ্যে ফুসফুস ও হার্টের সবরকমের চিকিৎসা শুরু হতে চলেছে। আর এজন্য পরিকাঠামো সহ আনুষঙ্গিক সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখতেই প্রফেসর প্লাবন মুখার্জী আসেন। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ওপেন হার্ট সার্জারির এই চিকিৎসার জন্য দু’জন সার্জেন তৃপ্তি তলাপাত্র এবং সঞ্জীব মণ্ডল চলে এসেছেন। একইসঙ্গে সিস্টার ও গ্রুপ ডি কর্মীও নিয়োগ হয়ে গেছে।
ডা. নায়েক জানিয়েছেন, গড়ে প্রতিদিন অনাময়ে ১০টি করে অ্যাঞ্জিওপ্লাস্ট হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, এদিন যখন ডা. প্লাবন মুখার্জী সরজমিনে গোটা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে আসেন সেই সময় প্রায় ৪০০ রোগীর লাইন দেখে তিনি অবাক হয়ে যান। ডা. নায়েক জানিয়েছেন, ধাপে ধাপে গোটা পরিকাঠামো তৈরি হবে। এদিন মূলত কোথায় অপারেশন থিয়েটার হবে, কি কি যন্ত্রাংশ লাগবে প্রভৃতি সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি। এমনকি গত এক বছরে কি কি ধরণের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে তাও খতিয়ে দেখেন তিনি। ডা. কৌস্তভ নায়েক জানিয়েছেন, প্রথমে তাঁরা ফুসফুসের যাবতীয় চিকিৎসা শুরু করবেন। তারপর বাইপাস সার্জারি বা ওপেন হার্ট সার্জারি শুরু হবে। তিনি আশা ব্যক্ত করে জানিয়েছেন, আগামী ৫ মাসের মধ্যেই সমগ্র এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
তিনি জানিয়েছেন, প্রথম দফায় বাইপাস সার্জারির জন্য ৫টি পুরুষ ও ৫টি মহিলা, মোট ১০টি বেড চালু হচ্ছে। এর সঙ্গে থাকছে আরও ৪টি বেড। অপারেশনের পর এই বেডে রেখে পর্যবেক্ষণ করা হবে। তারপর জেনারেল বেডে রোগীকে দেওয়া হবে। ডা. নায়েক জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে ওপেন হার্ট সার্জারি কেবলমাত্র কলকাতাতেই হয়। তাই অনাময়ে এই সার্জারি শুরু হলে কলকাতার পর উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলার রোগীরাও উপকৃত হবেন।