মঙ্গলবার রাতে বর্ধমান শহরের স্টেশন সংলগ্ন এলাকার একটি হোটেল থেকে এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো। মঙ্গলবার বিকেল থেকে ওই ব্যক্তির হোটেল রুমের দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় হোটেল কর্মীদের। ডেকেও কোন সাড়া না মেলায় হোটেল কর্মীরা পুলিশে খবর দেন। বর্ধমান থানার পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে গামছার ফাঁসে ঝুলছে ওই ব্যক্তি। মৃত ব্যক্তির নাম অনুপ কুমার বিশ্বাস(৫৫)। তিনি পেশায় ঠিকাদারি করতেন বলে জানা গেছে। বাড়ি হুগলির জনাই রোড এলাকায়।
হোটেল সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার তিনি বর্ধমান স্টেশনের ঠিক উল্টোদিকের একটি হোটেলের চারতলায় ৪১৩ নম্বর রুম ভাড়া নেন। ওইদিন রাতে তিনি হোটেল থেকেই খাবার খান ও মঙ্গলবার সকালে চা খান। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেল থেকে ওই ব্যক্তির ঘর বন্ধ ছিল। সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘর থেকে কোন সাড়া না পেয়ে হোটেলের এক কর্মী ম্যানেজারকে বিষয়টি জানান। রাত পর্যন্ত ঘর না খোলায় পুলিশে খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। বর্ধমান থানার পুলিশ গিয়ে হোটেলের দরজা ভেঙে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। দুটি গামছার ফাঁসে ফ্যানের সঙ্গে তাঁর দেহ ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
বুধবার বর্ধমান হাসপাতালে যান মৃতের পরিবারের সদস্যরা। মৃতের এক আত্মীয় জানান, অনুপবাবু রেলের ঠিকাদারির কাজ করতেন। সোমবার বর্ধমানে রেলের টেন্ডারের কাজ আছে বলে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার সকালে বাড়ির সঙ্গে ফোনে কথাও হয়। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেল থেকে তাঁর ফোন পাওয়া যায়নি। মৃতের আত্মীয় মনোজ সরকার জানান, হোটেলের তরফে বলা হয় তিনি একা এসেছিলেন। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে তার সঙ্গে অন্য একজন এসে দেখা করেছিল। তাই এটা আত্মহত্যা না খুন সেই বিষয়ে তদন্ত প্রয়োজন। পারিবারিক বা ব্যবসাগত সমস্যা ছিল না বলেই মৃতের পরিবারের দাবি।