পুজো সামগ্রীর উপর জিএটির কোপ পড়ায় দশকর্মা দোকানদারদের মাথায় হাত। রঙীন প্লাস্টিকের মালা, রঙিন কাগজ, চাঁদ মালা থেকে মোমবাতি সহ বিভিন্ন পুজো সামগ্রীর উপর বিভিন্ন স্লাবে কর ধার্য‍্য হওয়ায় দশকর্মা দোকানে পুজো সামগ্রীর দাম বহুগুণ বেড়ে গেছে বলে দাবি দোকানদারদের। স্বাভাবিক ভাবেই ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতাও অনেকটাই কমেছে। দুর্গাপুজোর মত কালী পুজোতেও জিএসটির কোপে দশকর্মা দোকানিরা চড়া দামেই বিক্রি করছেন পুজোর জন্য প্রয়োজনীয় দশকর্মা সামগ্রী।

পুজো সামগ্রীর দাম বাড়ার ফলে পুজো উদ‍্যোক্তারাও প্রয়োজনীয় পুজো সামগ্রী তুলনায় কম কিনছেন। দুর্গা পুজোর মত স্বাভাবিক ভাবেই কালী পুজোতেও লোকসানের আশঙ্কায় দশকর্মা ব‍্যবসায়ীরা। দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গীর এক দশকর্মা ব‍্যবসায়ী দীপক পাল বলেন, যে ভাবে জিএসটি প্রভাব পড়েছে পুজো সামগ্রীর উপর এই ভাবে সব পুজোয় লোকসান হতে থাকলে একদিন দশকর্মার দোকানের ঝাঁপ জিএসটির প্রভাবে বন্ধ করে দিতে হবে।

জিএসটির কোপে দশকর্মার পাশাপাশি বাজির দরও আকাশ ছোঁয়া। দুর্গাপুজো থেকে কালী পুজো পর্যন্ত মূলত বাজি বিক্রির মরশুম। এইসময় খরিদ্দারের চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হয় ব্যবসায়ীদের। কিন্তু এবার বাজির চাহিদা অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক কম৷ জিএসটি-র কারণে প্রতিটি আতসবাজির ক্ষেত্রেই দাম বেড়েছে। ফলে বাজি কিনতে এসে সমস্যায় পড়ছেন ক্রেতারাও। লোকসানের আশঙ্কায় আতশবাজি বিক্রেতারাও।

Like Us On Facebook