জামালপুরের কৃষ্ণচন্দ্র পুর ও হিরণ্য গ্রামের কয়েকজন যুবক দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে লকডাউন মেনে বাড়িতে থাকার প্রচার করছেন। করোনা আতঙ্কের মধ্যেই লকডাউন উপেক্ষা করেই অবাধে শহর ও গ্রামে শিক্ষিত একদল মানুষ দিব্যি রাজপথে ঘোরাঘুরি করছেন। গত কয়েকদিন ধরে নিয়মিত আমরা এই চিত্র দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামের কয়েকজন যুবক হাঁটছেন ঠিক উল্টো পথে। গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে সচেতন করছেন এলাকার মানুষকে। গ্রামের যুবক ইজাজ, সঞ্জীব পাল, কালিচরণ সোরেনরা দেওয়াল লিখে মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ নিয়েছেন। ভয়ঙ্কর করোনার গ্রাস থেকে গ্রামের মানুষকে সচেতন করার লক্ষেই তাদের এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন ওই যুবকরা।
বারে বারে দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অনুরোধ করছেন লকডাউন সফল করার জন্য। কিন্তু থোড়াই কেয়ার, কে কার কথা শোনে। সব্জির বাজার হোক বা মুদিখানার দোকান বা চায়ের দোকান। সকালের দিকে কিছু মানুষের লকডাউনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংকে দূরে সরিয়ে বাড়ির বাইরে বের না হলে চলছে না। অথচ প্রচারে কোন খামতি নেই প্রশাসনের। শহর থেকে গ্রাম, গলিপথ থেকে রাজপথ সর্বত্রই অবিরাম প্রচার চলছে। তবুও হুঁশ ফিরছে না কিছু মানুষের।
কিন্তু জামালপুরের পারাতল এলাকার কয়েকজন যুবক এলাকার মানুষকে করোনা নিয়ে সচেতন করার জন্য রীতিমত মাঠে নেমেছেন। এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় দেওয়ালে কখনও করোনা ভাইরাসের ছবি এঁকে বাড়ি থেকে না বর হওয়ার আবেদন আবার কোথাও বা লেখা বারে বারে সাবান জল দিয়ে হাত ধোওয়া থেকে মাস্ক পড়ার কথা লিখে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। এমনকি একজায়গায় জমায়েত না হওয়ার বার্তাও লেখা থাকছে দেওয়ালে। যুবকদের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতি থেকে এলাকার মানুষ। তাঁদের বক্তব্য শুধু দেওয়ালে লেখা দেখলাম,পড়লাম আর চলে গেলাম তা করলে হবে না, আমাদের ঠিক করতে হবে আমরা নিজে ঠিক থাকব।