গভীর রাতে গান গাইলেই কারা যেন তালে তাল মিলিয়ে বাজিয়ে দিচ্ছে তবলা, হারমোনিয়াম, গীটার। ঘুঙুরের শব্দও ভেসে আসছে কানে। ভূতের ভয়ে জড়সড় অবস্থা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এজেন্টদের। মাথায় উঠেছে বর্ধমানের এমবিসি ইনস্টিটিউটের স্ট্রংরুমে ইভিএম পাহারা।
২৯ এপ্রিল চতুর্থ দফায় ভোট মিটেছে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের। ২৩ মে বর্ধমানের সাধনপুরে এমবিসি ইনস্টিটিউটে হবে গণনা। এখানেই করা হয়েছে স্ট্রংরুম। রাখা আছে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের সমস্ত বুথের ইভিএম ও ভিভিপ্যাট মেশিন। স্ট্রংরুম পাহারায় রয়েছেন সশস্ত্র বাহিনী, রাজনৈতিক দলের এজেন্টরা। পাশাপাশি আছে সিসিটিভির নজরদারি।
ভূতের ভয়ে এখন কালঘাম ছুটেছে বর্ধমানের এমবিসি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির স্ট্রংরুমের পাহারায় থাকা ভোটকর্মী ও এজেন্টদের। বিভিন্ন দলের এজেন্টদের অভিযোগ, সূর্য ডুবলেই শুরু হয় অশরীরিদের আনাগোণা, না চোখে দেখা যায় না। কিন্তু তেনারা বিভিন্নভাবে নিজেদের উপস্থিতির জানান দিচ্ছেন। এই স্ট্রংরুমে রাখা ইভিএমই ভাগ্য নির্ধারণ করবে দলের। তাই ভয় পেলেও হাল ছাড়েননি রাজনৈতিক দলের এজেন্টরা। এখন কোনওভাবে ভোটপর্ব মিটলেই বাঁচেন ভোটকর্মী সহ এজেন্টরা। যদিও এগুলো মনের ভ্রম বলেই মনে করছেন অনেকে।
বর্ধমান ডট কম-এর খবর নিয়মিত আপনার ফেসবুকে দেখতে চান?