জনশ্রুতি অনুযায়ী, প্রায় ১০০ বছর আগে এক কৃষক তাঁর জমিতে চাষ দেওয়ার সময় লাঙ্গলের ফালে লাগে কোন এক বস্তু, তা থেকে রক্ত বের হতে দেখেন তিনি।সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। এরপর মাটি খুঁড়ে মেলে একটি শিবলিঙ্গ। তৎকালীন বর্ধমানের রাজার নির্দেশে বুড়ো শিবের প্রতিষ্ঠা হয়। ঘটনাটি অন্ডালের মদনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাবুইসোল গ্রামের।
সেই সময় থেকেই বর্ধমানের মহারাজার আনুকূল্যে ও পৃষ্ঠপোষকতায় ভক্তিভরে প্রাচীন রীতিনীতি মেনে শিবলিঙ্গের পুজো শুরু হয়। যথারীতি চৈত্র মাসের শেষে অনুষ্ঠিত হয় শিবের গাজন উৎসব। প্রথমে ছোটখাটো ভাবেই চলত এই পুজো, ধীরে ধীরে গ্রামের শ্রীবৃদ্ধি হওয়ায় পুজোতেও লেগেছে জাঁকজমকের ছোঁয়া। এই পুজোকে ঘিরে এলাকায় উৎসবের পরিবেশ তৈরি হয়, বসে মেলা। মন্দিরের বর্তমান সেবাইত দিলীপ ঘোষ জানান, আনুমানিক প্রায় একশো বছর আগে চাষারা চাষ করার সময় চাষাদের হালে মাটির নীচে লাগে কোন বস্তু। তা থেকে নির্গত হতে থাকে রক্ত। ভয় পেয়ে যান চাষারা। এরপর মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে শিবলিঙ্গ।তারপর থেকেই বর্ধমানের রাজাদের অনুপ্রেরণায় চলে আসছে এই পুজো। বর্তমানে এলাকার মানুষের অনুদানেই চলে এই পুজো।