দু্র্গাপুরের অন্যতম ঐতিহ্যশালী সাংস্কৃতিক মেলা হল গ্যামন ব্রিজের ‘কল্পতরু মেলা’। মেলা কমিটি সূত্রে জানা গেছে ১ জানুয়ারি মেলার উদ্বোধন এবং এই মেলা চলবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। কল্পতরু মেলার প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। মেলার উদ্যোক্তারা জানান প্রতিদিন সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাজ্যের প্রখ্যাত সব শিল্পীরা প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় লোকসঙ্গীত মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন। কল্পতরু মেলা মূলত সাংস্কৃতিক মেলা তাই রাজ্যের লোকসঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় আসর বসবে মেলায়। পাশাপাশি কৃষি, বই ও শিল্প মেলাও এই মেলার এক অপরিহার্য অঙ্গ।

গ্রাম বাংলার কৃষি ও কৃষিজাত পন্যের বিক্রয় ও প্রদর্শনীর জন্য থাকছে কৃষি মেলা। এছাড়াও শিল্পাঞ্চলের পুস্তকপ্রেমীদের জন্য থাকছে বইমেলা। এই বইমেলায় মিলবে নামিদামি প্রকাশকদের বই-এর স্টল। বইপ্রেমী মানুষরা তাই এই মেলায় ভীড় জমাবেন তাঁদের নিজেদের বইয়ের কালেকশনকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলতে। শিল্পাঞ্চলের অন্যতম আর্কষণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার। কল্পতরু মেলার বিশেষ অঙ্গ হল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার। এই শিল্প মেলায় কলকারখানার বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় হাতেকলমে দেখানো হবে দর্শকদের। শিল্প মেলায় এবারও ডিপিএল প্যাভিলিয়ন থাকছে বলে জানা গেছে।

মেলায় দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য প্রখ্যাত সংঙ্গীত শিল্পী নচিকেতা ও লোকসঙ্গীত শিল্পী সহজ মা’র মতো খ্যাতনামা শিল্পীরা পারফর্ম করবেন মেলার সান্ধ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে।

এছাড়াও বিভিন্ন পোষাক ও জামাকাপড়ের স্টলও থাকছে মেলায়। রকমারি মিষ্টি ও শীতের আমেজে পিঠেপুলির স্টল দর্শক টানবে বলে উদ্যোক্তারা মনে করছেন। নেট প্রেমীদের জন্য মেলায় থাকছে ফ্রী ওয়াই-ফাই জোন। মেলায় পরিশুদ্ধ পানীয় জলের বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে বলে জানা গেছে। উদ্যোক্তারা জানান এবছরও মেলার আয় থেকে মূখ্যমন্ত্রী ও দুর্গাপুর মেয়রের ত্রাণ তহবিলে আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে। নিরাপত্তা জোরদার করতে পর্যাপ্ত পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবীর পাশাপাশি আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে সিসিটিভি’র নজরদারি থাকছে মেলায়।