শীতের মুখেই রমনাবাগান অভয়ারণ্যর তরফে খুশির খবর বর্ধমানবাসীর জন্য। আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে নিয়ে আসা হল বিলুপ্তপ্রায় বার্কিং ডিয়ার প্রজাতির ৪ টি হরিণ। এই হরিণগুলিকে কাকর হরিণ, মায়া হরিণ বা স্বর্ণ মৃগও বলা হয়। এই প্রজাতির হরিণ ভয় পেলে বা শিকারী প্রাণী দেখতে পেলে কুকুরের মত ঘেউ ঘেউ করে বলে এদের বার্কিং ডিয়ার বলা হয়ে থাকে।
রমনাবাগান জু বা বর্ধমান জুলজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, রমনাবাগানে চিতল প্রজাতির হরিণ থাকলেও ছিল না বার্কিং ও সম্বর প্রজাতির হরিণ। তাই দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য বার্কিং প্রজাতির ৪ টি হরিণ আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে সম্বর প্রজাতির হরিণও আনা হবে। এদিন জেলা মুখ্য বনপাল দেবাশীষ শর্মার উপস্থিতিতে সদ্য আনা হরিণগুলিকে রমনাবাগানের মুক্ত অঞ্চলে ছেড়ে দেওয়া হয়। দেবাশীষ শর্মা জানিয়েছেন, চারটি বার্কিং ডিয়ারের বদলে আলিপুর চিড়িয়াখানায় পাঠনো হয়েছে রমনাবাগানে জন্ম নেওয়া দুটি সজারু শাবক।