গোখরো সাপের বংশবৃদ্ধিতে তৎপর বর্ধমানের বন দফতরের আধিকারিকরা। এক সঙ্গে সতেরোটি ডিম পেড়েছে বর্ধমানের রমনাবাগান মিনি-জু তে থাকা একটি গোখরো। বর্ধমান বন দফতরের আধিকারিকরা এখন সেই ডিম থেকে যাতে বাচ্চা জন্মায় তার জন্য কড়া নজরদারি রাখছেন। একটি বাক্সে ছিল ওই গোখরো। এক সঙ্গে সেটি অনেক ডিম পেড়েছে বলে ধরা পড়ে বন কর্মীদের নজরদারিতে। এরপরই ওই ১৭টি ডিম থেকে যাতে গোখরোর বাচ্চা জন্ম দেওয়ানো যায় সেই সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর। এই কাজ সফল করতে কোনও খামতি রাখতে নারাজ বন দফতর।
দিন কয়েক আগে বর্ধমান শহরের সরাইটিকর এলাকার এক ঘর থেকে উদ্ধার হয় পাঁচ-ছয় মিটার লম্বা গোখরোটি। পরে তাকে রমনাবাগানে নিয়ে আসা হয়। মাঝে মাঝেই তার ফোঁস-ফোঁসানি শুনতে হচ্ছে কর্মীদের। যে বাক্সে ধরে রাখা হয়েছিল এই সাপটিকে সেই বাক্সেই ১৭টি ডিম পাড়ে গোখরোটি। তা দেখে অনেক ভেবে চিন্তে বন দফতরের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই ডিম ফুটিয়ে বাচ্চা জন্ম দেওয়া হবে। সেই মতই প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে।
বন দফতরের এক আধিকারিকের জানান, ডিমগুলিকে দুটি পৃথক বাক্সে রাখা হয়েছে। ডিম ফোটানোর জন্য বিশেষ পদ্ধতি নেওয়া হচ্ছে। যাতে বাক্সের মধ্যে তাপমাত্রা ডিম ফোটার উপযুক্ত থাকে সেই মত ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এমনভাবে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখলে ২৫ থেকে ২৬দিন পর বাচ্চা বেরিয়ে আসবে। সেগুলিকেও আলাদাভাবে যত্ন নিতে হবে। প্রথমদিকে পিঁপড়ে খাওয়ানো হবে। পরে মাংস দেওয়া হবে।
বন দফতরের কর্মীরা জানান, ডিম দেওয়ার পরে অনেকটাই শান্ত হয়ে গেছে মা গোখরোটি। তবে ডিমগুলির থেকে তাকে আলাদা করতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ফণা তুলে ফোঁসফোঁস করছিল। ডিমগুলি ছেড়ে যেতে চাইছিল না। ঝুঁকি নিয়ে তাকে সরানো হয়েছে।