গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন লোকগানকে ফের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। যার অঙ্গ হিসাবে মঙ্গলবার থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার ৫০ জন লোকশিল্পীদের নিয়ে ৩দিনের কর্মশালা শুরু হল। এদিন বর্ধমানে জেলা কৃষি খামারের সম্প্রসারণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার। উপস্থিত ছিলেন সহকারী সভাধিপতি গার্গী নাহা, জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক রামশঙ্কর মণ্ডল, জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক শরৎ কোলে, জেলা কন্যাশ্রী প্রকল্পের আধিকারিক পূরবিতা চ্যাটার্জী, শিশু সুরক্ষা বিভাগের অফিসার ফাল্গুনী চ্যাটার্জী, বাঁকুড়ার প্রবীণ টুসু শিল্পী তথা প্রশিক্ষক প্রমথনাথ মাহাতো প্রমুখ।
এদিন জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক জানিয়েছেন, রাজ্য লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্রের উদ্যোগে এবং জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সহযোগিতায় ৩দিন ধরে এই প্রশিক্ষণ চলবে। হারিয়ে যাওয়া টুসুর মত লোকগানকে ফিরিয়ে আনা, এই শিল্পের প্রতি আকৃষ্ট করে লোকশিল্পীদের তাতে যুক্ত করার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে এই গানের মাধ্যমে তুলে ধরার লক্ষ্য নিয়েই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে টুসু গানকে ভিত্তি করে।
এদিন জেলা পরিষদের সভাধিপতি জানিয়েছেন, একটা সময় এই লোকগান অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছিল। সাধারণ মানুষ এই গানের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের বার্তা পেতেন। আজকের আধুনিক ব্যবস্থাপনা সেই সময় না থাকায় সেই সময় এই গান, যাত্রা, নাটকের মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছানোর অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই সংস্কৃতিকেই পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছেন। উল্লেখ্য, বাউল সহ বিভিন্ন লোকগানের শিল্পীর সংখ্যা ক্রমশ কমছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিল্পীরা। ভবিষ্যত প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা এই গানের প্রতি আকর্ষিত হচ্ছেন না। ফলে ক্রমশই এইসব গান বিলুপ্তির পথে পা বাড়াচ্ছে বালে দাবি শিল্পীদের।