ঠেলায় পড়ে নাকি নিছক খেয়ালে বিড়াল তিন তলা বাড়ির জানালার সানশেডে গিয়ে পৌঁছালো তা জানা নেই। একটানা তার কান্না শুনে টনক নড়ে এলাকার বাসিন্দাদের। দুধ-ভাত, মাছ ভাজার লোভ দেখিয়েও তাকে নামানো যায়নি। কারণ, সেখান থেকে নামার পথ পাচ্ছিল না বিড়ালটি। উচ্চতার কারণে লাফিয়ে ছাদেও উঠতে পারছিল না। আবার নীচে লাফ দেওয়া মানে আত্মহত্যার সামিল। উপায় না দেখে একটানা কান্নাই শ্রেয় বোধ করেছিল সে। কাজ হল তাতেই। এলাকাবাসীরা খবর দেয় দমকলকে। টান টান উত্তেজনার শেষে বিড়ালটিকে উদ্ধার করে দমকল কর্মীরা। সোমবার বিকেলে এমনই ঘটনার সাক্ষী রইলেন বর্ধমান শহরের নতুনপল্লী এলাকার বাসিন্দারা।
রবিবার রাতে যে কোনভাবে একটি বাড়ির তিন তলার জানালার সানশেডে চড়ে বসে দুধ সাদা বিড়ালটি। নামার পর সে বোঝে এখান থেকে উদ্ধার পাওয়া সহজ নয়। ওপর-নীচ দেখে আর কিছু করার নেই বুঝতে পেরে কান্নাকাটি শুরু করে বিড়ালটি। এলাকার বাসিন্দারা বললেন, রবিবার সকাল থেকে একটানা বিড়ালটা কেঁদেই চলেছিল। আশপাশে তেমন গাছ নেই। তাই ছাদ থেকেই সে নেমেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। তারপর আর সে উঠতে পারেনি। প্রথমে আমরা খোঁজ করছিলাম কোথা থেকে বিড়ালের কান্না আসছে। একটানা ডাক শুনে খোঁজাখুঁজির পর দেখা যায় একটা জানালার সানশেডে বিড়ালটি আটকে পড়েছে।
উপায় না দেখে বাসিন্দারা দমকল বিভাগে খবর দেন। সোমবার বিকেলে সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে আসেন দমকল কর্মীরা। কোমরে দড়ি বেঁধে ছাদ থেকে এক দমকল কর্মীকে সানশেডে নামানো হয়। তিনি বিড়ালটিকে ধরেও ফেলেন। কিন্তু ভয় পেয়ে সেই বিড়াল হাত ফসকে লাফ মারে। ট্রাপিজের খেলার মতো কেবল টিভির তার ধরে ঝুলতে থাকে সে। এরপর তলায় চট ধরেন দমকল কর্মীরা। ওপর থেকে তারে ঝাঁকুনি দেওয়া হয়। ব্যালান্স হারিয়ে নীচে চটের ওপর পরে বিড়ালটি। তা থেকে পালাতে সময় নেয়নি সে। কিছুটা গিয়ে গা ঝাড়া দিয়ে পেছনে ঘুরে দমকল কর্মীদের দিকে একবার দেখে একটি বাড়িতে গা ঢাকা দেয় সে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন সকলে।