পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের চেম্বারে বুধবার সাত সকালে আগুন লাগার ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়াল। দমকলের পক্ষ থেকে আগুন লাগার কারণ শর্ট সার্কিট বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হলেও পূর্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের প্রাথমিক ধারণা, আগুন লাগার কারণ বিড়ির আগুন। তাঁদের অনুমান সম্ভবত সাফাই কর্মীরাই সাফাইয়ের কাজ করার সময় জ্বলন্ত বিড়ি ফেলাতেই তা থেকে আগুন ধরে যায়।

যদিও এব্যাপারে খোদ জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, আগুন লাগার কারণ তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ এবং দমকলকে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, আগুনে দুটি এসি মেশিন, একটি দেওয়াল ফ্যান এবং দুটি চেয়ার সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়েছে। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের প্রশ্ন, যদি সত্যিই শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগত তাহলে গোটা অফিসেই তার প্রভাব পড়ত। কিন্তু আগুন লাগার ঘটনার পরও অন্যত্র বিদ্যুৎ পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল। নিয়মানুযায়ী শর্ট সার্কিটজনিত আগুন লাগার ঘটনা ঘটলেই বিশেষ ধরণের পাওয়ার কার্ট সুইচ কাজ করত। এক্ষেত্রে তাও ঘটেনি। ফলে আগুন লাগার কারণ নিয়েই রীতিমত ধন্দ সৃষ্টি হয়েছে। আবার যেভাবে এসি মেশিন দুটি পুড়ে গেছে, তাতে মনে করা হচ্ছে কোনো কারণে দেওয়াল ফ্যান থেকেও এই আগুন লাগতে পারে।

উল্লেখ্য, প্রতিদিনের মতই বুধবার সকালে প্রায় সাড়ে সাতটা নাগাদ নিয়মমাফিক জেলা শাসকের দপ্তর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার সময় হঠাৎই সাফাই কর্মী পার্বতী রাউত, সুমিতা রজক এবং শাম হেলাদের নজরে আসে ধোঁয়া। জেলা শাসকের চেম্বারের দরজা খুলতেই ব্যাপক ধোঁয়া দেখে প্রথমে অন্যান্য কর্মীদের বিষয়টি জানান তাঁরা। এরপর তড়িঘড়ি দমকলে খবর দেওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে জল দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করলেও, দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে আগুন এবং ধোঁয়া পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, পুরো ঘটনার তদন্ত করা হবে। প্রাথমিক ভাবে ইলেকট্রিক থেকে আগুন লেগে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তদন্ত শেষ না হলে সঠিক ভাবে কিছু এখনই বলা সম্ভব নয়। জেলাশাসক অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগুন লাগার ঘটনায় দুটি চেয়ার, দুটি এসি মেশিন, একটি কেবিন ফ্যান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। এছাড়াও চেম্বারের ভিতরের দেওয়াল সহ ডিএম-এর নাম লেখা বোর্ড আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোন গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের ক্ষতি হয়নি।


Like Us On Facebook