শিশুর পেট থেকে বের হল আর এক শিশুর ভ্রুণ। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক শিশুর পেট থেকে শিশুর ভ্রুণ বের করলেন চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, বীরভূমের নানুরের বাসিন্দা এক শিশুপু্ত্রের বয়স এক বছর আট মাস। গত ছ’মাস যাবৎ তার বাবা-মা লক্ষ্য করেন শিশুটির পেটের এক অংশ বলের মতো শক্ত হয়ে রয়েছে। ক্রমশ তা বাড়তে থাকায় শিশুর বাবা মা তাকে নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সিটি স্ক্যান সহ পরীক্ষা নিরীক্ষায় শিশুটির পেটে যে অন্য ভ্রুণ রয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হন চিকিৎসকরা। এরপর বৃহস্পতিবার কুড়ি জন চিকিৎসকের একটি দল দু ঘন্টার প্রচেষ্টায় ওই শিশুর পেট থেকে ভ্রুণটি বের করে আনতে সমর্থ হন। শিশুটি আপাতত পর্যবক্ষেণে রয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এই সমস্যাকে চিকিৎসা শাস্ত্রের ভাষায় বলা হয়, ফিটাস ইন ফিটু। এর অর্থ হল, মায়ের পেটে যমজ বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। কিন্তু পরে একটি বাচ্চার পরিপূর্ণ গঠন ও বিকাশ হলেও আরেকটি বাচ্চা পুরোপুরি বেড়ে ওঠেনি। যে বাচ্চাটির গঠন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই বাচ্চাটি আম্বিলিকাল কর্ডের মাধ্যমে পুরোপুরি বেড়ে ওঠা বাচ্চাটির শরীরের ভেতর চলে যায়। কিন্তু এর বিকাশ বা গঠন সেখানেই থেমে থাকে। এই ধরণের ঘটনা খুবই বিরল। সাধারণত পাঁচ লাখ শিশুর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে চিকিৎসকদের ভিন্ন মতও রয়েছে। ফিটাস ইন ফিটু আসলে কি তা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে গবেষণা চলছে।
দুই বর্ধমান জেলার খবরে আপডেটেড থাকতে আপনার ফেসবুকে ‘See First’ অ্যাক্টিভেট করুন