শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবসে পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসকের দফতরের সামনে চালু হল ‘স্নেহনীড়’ – মাতৃদুগ্ধপান কক্ষ। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন সরকারি দফতরে মায়েদের সুবিধার কথা ভেবে তৈরি করা হচ্ছে মাতৃদুগ্ধপান কক্ষ। জেলাশাসক দফতরের সামনে কালেক্টরেট ভবনের একতলায় একটি কক্ষকে আধুনিকিকরণ করে মায়েদের প্রয়োজনীয় সুবিধা সহ মাতৃদুগ্ধপান কক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব এই মাতৃদুগ্ধপান কক্ষের উদ্বোধন করেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক সাধারণ শ্রী অরিন্দম নিয়োগী,জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক শ্রী কুশল চক্রবর্তী, জেলা সর্বশিক্ষা প্রকল্প আধিকারক মৌলী স্যানাল সহ অনান্যরা।
বর্ধমানে জেলাশাসক দফতর সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে কোর্ট, জেলা পরিষদ অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর। ওই এলাকায় প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আসেন বিভিন্ন কাজে। অনেক মায়েদেরও কোলে বাচ্চা নিয়ে আসতে হয়। শিশুদের স্তন্যদানে মায়েদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় সেই লক্ষ্যেই জলেশাসক দফতরের সামনে কালেক্টরেট ভবনে তৈরি করা হয়েছে ‘স্নেহনীড়’। জানা গেছে, মহকুমা ও ব্লক স্তরের বিভিন্ন সরকারি দফতরেও তৈরি করা হচ্ছে মাতৃদুগ্ধপান কক্ষ।
জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, অনেক সময় বর্ধমানের কালেক্টরেট ভবনে মায়েরা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে বিভিন্ন কাজে আসেন। এরই পাশাপাশি এই কালেক্টরেট চত্বরেই রয়েছে জেলা পরিষদ এবং জেলা আদালতও। সেখানে প্রতিদিনই প্রচুর মানুষ আসেন। জনসমক্ষে মায়েরা শিশুদের স্তন্যপান করাতে অনেক সময় সঙ্কোচ বোধ করেন। বিষয়টি অনুধাবন করে প্রশাসন এই ধরণের একটি নিরাপদ ঘর তৈরির পরিকল্পনা নেয়। এই কক্ষ তৈরি করতে প্রায় ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কক্ষের মধ্যে থাকছে পানীয় জল, আলো, পাখা এবং বসার জন্য একটি শোফাও। থাকছে শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য দেওয়ালে নানাবিধ কার্টুন ছবিও। জেলাশাসক জানিয়েছে্ন, গোটা রাজ্যের মধ্যে এই ধরণের ভাবনা বর্ধমানে প্রথম। জেলা কালেক্টরেট ভবনের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলার সমস্ত মহকুমা এবং বিডিও অফিস গুলিতেও এই ধরণের কক্ষ তৈরি করা হবে।